বিজেপির নবান্ন অভিযান। সেই অভিযানকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়দের ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। পিটিএসের কাছ থেকে লালবাজারের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়েছে তাঁদের। যদিও এই অভিযানকে আমল দিতেই নারাজ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার তিনি বলেন, লোকজন না থাকায় বিজেপি বাজার গরম করার জন্য এসব করছে। বিজেপির যা লোকবল, তাতে লাইন করে দাঁড়ালে তা নবান্ন অবধি আসবে না বলেই মন্তব্য ফিরহাদের।
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, “লোকজন নেই। বিজেপির পর্যবেক্ষক বনশল সাহেব বলে গেছেন, আপনাদের শুধু নেতারাই রয়েছে বিজেপিতে। তার তলায় কোনও ক্যাডার নেই, কর্মী নেই। যাদের কর্মীই নেই, তাদের কাকে বাধা দেবে? হাওয়াকে? বিহার, উত্তর প্রদেশ থেকে জোগাড় করে কিছু লোক এনেছে। কর্মীহীন একটা পার্টি শুধু কিছু এজেন্সির দ্বারা বেঁচে আছে।”
এ প্রসঙ্গে হাওড়া স্টেশনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এমার্জেন্সির সময় যে ধরনের ব্যারিকেড আমরা দেখেছিলাম, এখন পশ্চিমবাংলায় সেই ব্যারিকেড আমরা দেখতে পাচ্ছি। অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শুভেন্দু অধিকারীকে আটকানো হয়েছে। এভাবে বিরোধী দলনেতাকে আটকানো যায় না। পুলিশ দলদাসের মতো আচরণ করছে।”
বিজেপির তরফে এদিন অভিযোগ তোলা হয়, এ রাজ্যে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে সরকার। তারও পাল্টা ফিরহাদ বলেন, “এখানে কোনও গণতন্ত্র ধ্বংস হয় না। লোক না থাকলে কাকে বাধা দেবে? যদি লাইন করেও বিজেপি দাঁড়ায়, নবান্ন অবধি বিজেপির লাইন যাবে না। আমরা বাধা দিতে যাব কেন? আর যে গার্ডরেল নিয়ে বলছে, তা তো সুরক্ষার জন্য। তার আগে পর্যন্ত আন্দোলন করবে। সে তো আমরাও করেছি। আমরা অভিযান করতাম, এসপ্লানেডে দাঁড়িয়ে। নবান্নের ভিতরে ঢুকে তো আর হয় না, আমরাও তো রাইটার্সে ঢুকে যাইনি। যত দূর পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি, সেখানেই শক্তি দেখান না।”
Be the first to comment