যেভাবে ‘মহারণ’ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়েছিল পুলিশ প্রশাসন, বাস্তবেও সাঁতরাগাছিতে তাই করে দেখালেন উর্দিধারীরা। সাঁতরাগাছি থেকে নবান্ন। মেরেকেটে চার কিলোমিটার। বিজেপির মেগা ইভেন্টের টার্নিং পয়েন্ট এই সাঁতরাগাছিই হয়ে উঠল। নাছোড় বিজেপি কর্মীদের আটকাতে ছোড়া হল জলকামান, টিয়ার গ্যাস। ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে বেপরোয়া লাঠিচার্জ করতেও দেখা যায়। এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে ইট-বোমা ছোড়ারও অভিযোগ তোলেন বিজেপি কর্মীরা।
বেলা ১.১৫ মিনিটের কিছু বেশি। সৌমিত্র খাঁয়ের নেতৃত্বে সাঁতরাগাছি থেকে মিছিল এগোচ্ছিল নবান্নের দিকে। দু’কিলোমিটার আগেই আটকে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। চলতে থাকে ধস্তাধস্তি। ব্যারিকেড, গার্ডরেল টপকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। তখনই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বেলা ১.৩৫ মিনিট। ছত্রভঙ্গ করতে জল কামান ছোড়া শুরু করে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের একাংশ পিছু হটতে শুরু করেন। তবে তখনও বেপরোয়া মনোভাবেই দেখা যায় বহু বিজেপি কর্মীকে। এবার শুরু হয় লাঠি উঁচিয়ে তাড়া। পুলিশের বিরুদ্ধে বেপরোয়া লাঠিচার্জের অভিযোগ তোলেন বিজেপি কর্মীরা। সঙ্গে চলতে থাকে টাকা কাদানে গ্যাসের সেল ফাটানো।
ক্যামেরায় ধরা পড়ে, অনেককেই কলার ধরে টেনে নিয়ে যায় পুলিশ। সাঁতরাগাছির পরিস্থিতি রীতিমতো ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীদের মিছিল আটকানোর চিত্র ধরা পড়ছিল। শহর জুড়ে ব্যারিকেড, নবান্নমুখী একাধিক রাস্তায় জলকামান, দমকল, অ্যাম্বুলেন্স আর কয়েক হাজার পুলিশ।
সাঁতরাগাছিতে যে উত্তেজনা ছড়াতে পারে, তা আঁচ করতে পেরেছিলেন দুঁদে পুলিশ কর্তারা। তাই সকালেই কোনাএক্সপ্রেসওয়েতে সাঁতরাগাছির কাছে দেখা যায় অভিনব ছবি। একেবারে ঝালাই করে রাস্তায় সঙ্গে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল গার্ডরেল। বিজেপি নবান্ন অভিযানের গোটা ‘মাইলেজ়’পেল সাঁতরাগাছিই।
Be the first to comment