নবান্ন অভিযানে গুরুতর জখম হয়েছেন বিজেপি কাউন্সিলর মিনাদেবী পুরোহিত। সেই ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে চিঠি পাঠালেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়েরের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক দাবিতে ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনদিক থেকে নবান্নে রওনা হয় মিছিল। বড়বাজার থেকে শুরু হওয়া মিছিলের সামনেই ছিলেন বিজেপি কাউন্সিলর মিনাদেবী পুরোহিত। পুলিশ মিছিলে বাধা দিতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। মাথা ফাটে কাউন্সিলর মিনাদেবী পুরোহিতের। কয়েকঘণ্টার মধ্যেই এ নিয়ে টুইট করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন।
গতকালই এই ঘটনা নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে চিঠি পাঠান জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। ঘটনার রিপোর্ট তলবের পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, একটি টুইটের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছেন। পুরুষ পুলিশ কর্মী বিজেপি নেত্রীকে মারধর করেছেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, শালীনতা লঙ্ঘনের উদ্দেশ্যে মহিলাদের উপর হামলা, অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ, ৩২৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত আঘাত ও ১৬৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী মামলার আরজি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল হাওড়া-সাঁতরাগাছি চত্বরে। পুলিশের সঙ্গে চলে খণ্ডযুদ্ধ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে একসঙ্গে নামানো হয় রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশ ও র্যাফ। বারাকপুর থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারদের। এদিকে কলকাতায় পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়া ও কলকাতার একাংশ।
Be the first to comment