বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে ফুঁসে উঠলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের দাবি, নবান্ন অভিযানের নামে আসলে বর্বরতা করেছে বিজেপি। গুন্ডামি, ভণ্ডামি হয়েছে। এটা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনার পুনরাবৃত্তি। পুলিশ যে সংবেদনশীলতার পরিচয় দিয়েছে, সেটা স্যালুট জানানোর মতো।
এদিন এসএসকেএমে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে যান তিনি। গতকাল বিজেপি কর্মীদের মারে গুরুতর আহত হন দেবজিৎবাবু। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”আমি দেবজিতবাবুর সঙ্গে দেখা করে ওনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করলাম। দেবজিতবাবুকে বলে এলাম, আপনার সংবেদনশীলতাকে স্যালুট জানাই। আপনার জায়গায় আমি থাকলে মাথায় গুলি করতাম।
অভিষেকের প্রশ্ন, একজন পুলিশ আধিকারিককে একা পেয়ে যেভাবে ২০-২৫ মিলে মেরেছে, তাতে পুলিশ কি গুলি চালাতে পারত না? সেটাই তো পুলিশের জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় ছিল। কিন্তু তা না করে যারা আন্দোলনে শামিল হতে এসেছিল, তাদেরকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নিমেষের মধ্যে সব ঠান্ডা করা যেত, কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হতে পারত। যেভাবে পুলিশের উপর পরিকল্পিতভাবে পাথর, ইট ছুঁড়েছে, সেটা বর্বরতা। লোহার রড দিয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ হয়েছে। লোহার রডে টেপ লাগিয়ে তাতে পতাকা লাগিয়ে এনেছিল। পরে পতাকা খুলে ফেলে সেই রড দিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়েছে।
এরপরই অভিষেক বলেন, আমি কলকাতা পুলিশের সংবেদনশীলতাকে স্যালুট জানাই। যেভাবে আপনারা মাথা ঠান্ডা রেখেছেন। আপনার জায়গায় আমি থাকলে, আমার সামনে যদি কেউ পুলিশ আধিকারিককে এভাবে মারত, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করত, তাহলে আমি তাঁর মাথায় গুলি করতাম। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, “আমি স্যালুট জানাই পুলিশ আধিকারিকদের। তাঁরা সংবেদনশীলতা, ধৈর্য, সংযমের পরিচয় দিয়েছে। এটাই সবচেয়ে বড় পরিবর্তন। পুলিশের সাহসিকতার জন্যই আজ দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতা।
অভিষেকের অভিযোগ, সুপরিকল্পিতভাবেই নবান্ন অভিযানের নামে অশান্তি পাকিয়েছে বিজেপি। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের অভিযোগ, কাল যে ইস্যু নিয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল, সেটা নিয়ে একটা পোস্টার, একটা লেখা, বা একটা স্লোগানও বিজেপির মুখ থেকে শোনা যায়নি। কী করে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করা যায়, কী করে বাংলার শান্তি শৃঙ্খলা, সম্প্রীতিকে নষ্ট করা যায় সেই চেষ্টা করেছে বিজেপি। এর বিরুদ্ধে কথা বলার মতো কোনও ভাষা আমার কাছে নেই।’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্ন, বিজেপি নেতারা শুধু বলছেন যে তৃণমূল তাঁদের যেতে দেয়নি। তৃণমূলের পুলিশ বাঁধা দিয়েছে। তাঁদের যদি বাধাপ্রাপ্তই হতে হয়, তাহলে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগাল কারা? পুলিশের উপর চড়াও হল কারা?
Be the first to comment