এবারও জামিন পেলেন না ‘অপা’। মহালয়াও জেলের অন্দরে কাটাতে হবে তাঁদের। আরও ১৪ দিন অর্থাৎ আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। জেলে গিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
বুধবার ভারচুয়ালি আদালতে পেশ করা হয়েছিল ‘অপা’কে। যে কোনও মূল্য জামিনের আরজি জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এজলাসে কেঁদেও ফেলেন তিনি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আরজি ছিল, ঘরবন্দি করে রাখা হলেও জামিন দেওয়া হোক। এদিকে মায়ের অসুস্থতার উল্লেখ করে জামিনের কথা বলেছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবীরা। তাঁদের দাবি, দুজনকে জেরা করে নিয়োগ দুর্নীতির বহু চাঁইয়ের হদিশ মিলতে পারে। ‘অপা’র আরজিতে কর্ণপাত করেননি বিচারপতি। তাঁদের আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ফের ভারচুয়ালি আদালতে পেশ করা হবে তাঁদের।
এদিন আদালতে ইডির তরফে জানানো হয়, দুজনের মোট ১০০ কোটির সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টেও ৫ কোটি টাকার খোঁজ মিলেছে। অর্পিতার নিজস্ব অ্যাকাউন্টে ২ কোটি টাকার বেশি এবং ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্টের অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে বলে দাবি করেছে ইডি। তদন্তের স্বার্তে জেলে গিয়ে তাঁদের ফের জেরার অনুমতিও দেয় আদালত।
প্রসঙ্গত, এদিন আদালতে কেঁদে ফেলেন এসএসসি দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কান্নাভেজা গলায় তাঁর আরজি, “আমাকে ছেড়ে দিন। প্রয়োজনে আমাকে ঘরবন্দি করে রাখুন কিন্তু জামিন দিন।” কইসঙ্গে উদ্ধার হওয়া সম্পত্তির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই বলেও দাবি করেন পার্থ।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও আদালতে স্পষ্ট জানান, তাঁর ফ্ল্যাটে টাকা কোথা থেকে এল, তা তিনি জানেন না। এজলাসে ভারচুয়ালি হাজিরা দিয়ে অর্পিতা জানান, “আমি জানি না, কী করে এমন হল?” তাঁদের কোনও যুক্তি ধোপে টেকেনি।
Be the first to comment