বিধানসভায় বিরোধীদের বিক্ষোভের ছবি নতুন নয়। অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে বিরোধী দলের বিধায়কদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে বৃহস্পতিবার সকালে অধিবেশনের শুরুতে যা দেখা গেল, তা কার্যত নজিরবিহীন। অধিবেশন কক্ষ ছাড়লেন শাসক-বিরোধী দু পক্ষই। প্রথমে বিজেপি মুলতুবি প্রস্তাব আনে। সেই প্রস্তাব গৃহীত না হওয়ায় ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। অন্যদিকে কিছুক্ষণের মধ্যে বিধানসভা কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান তৃণমূল বিধায়কেরা।
এ দিন বিশেষ অধিবেশনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী, নির্মলা সীতারামন ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তৈরি করা পোস্টার দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের বিধায়কেরা। পরে দেখা যায়, কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন শাসক দলের বিধায়করা। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, স্পিকার কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন, বলেই তাঁরা বাইরে বেরিয়ে এসেছেন, তাঁরা ওয়াকআউট করেননি। তৃণমূলের দাবি, বিরোধীদের বিক্ষোভে কক্ষ উত্তাল হয়ে উঠেছিল বলেই স্পিকার বেরিয়ে যান। মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, স্লোগানের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করা হয়েছে। সে কারণেই বেরিয়ে যান তৃণমূল বিধায়করা। রাজনৈতিক মহলের দাবি, একই সময়ে এ ভাবে শাসক-বিরোধী দু পক্ষেরই বেরিয়ে আসার ঘটনা আগে দেখা যায়নি।
রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, আইন মেনে মুলতুবি প্রস্তাব দেওয়া হয়নি বলেই তা গৃহীত হয়নি। তিনি জানান, বহুদিন বিরোধী হিসেবে রাজনীতি করার সুবাদে আইনটা তাঁর জানা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই আইন মানা হয়নি বলেই দাবি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর ‘ডোন্ট টাচ’ মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল বিধায়কেরা। ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ লেখা পোস্টারও দেখা যায় তৃণমূল বিধায়কদের হাতে। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক মদন মিত্র কটাক্ষ দাবি করেন, রাজনীতি করতে এসে কখনও তিনি বলেননি, ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’। তাঁদের ওপর অনেক আক্রমণ হলেও এমন কথা বলেননি তাঁরা।
Be the first to comment