বিশ্বকর্মা পুজোর দিনই বিপদ। টিটাগড়ে স্কুল চলাকালীন বিস্ফোরণের জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। স্কুলবাড়ির ছাদের একাংশ উড়ে গিয়েছে বলে খবর। বোমা ফেটে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, এমনই জানাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশের তদন্তকারী দল।
জানা গিয়েছে, ঘড়িতে তখন বেলা প্রায় ১১টা। টিটাগড়ের ফ্রি ইন্ডিয়া হাই স্কুলে ক্লাস চলছিল। সেসময় ১৩০০ ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিল। এমন সময় প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ । দেখা যায়, ছাদে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। ছাদের কিছুটা অংশ উড়ে গিয়েছে। কীভাবে স্কুলের ছাদে বোমা এল? এই প্রশ্ন উঠেছে। কেউ বা কারা কি ইচ্ছে করেই বোমা ছুঁড়েছে নাকি সেখানে বোমা বাঁধা হচ্ছিল – এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। কোনও আততায়ীর খোঁজ মেলেনি এখনও।
স্কুল চলাকালীন এমন একটা ঘটনা ঘটায় স্বভাবতই আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে অভিভাবকরাও ভীত। স্কুলে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তের পর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আশিস মৌর্য জানান, ”বিস্ফোরণ হয়েছে, এটা নিশ্চিত। তবে কোথা থেকে বোমা স্কুলে এল, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। বিষয়টি এখনও তদন্ত সাপেক্ষ।” তবে প্রাথমিক অনুমান, বাইরে থেকেই বোমা ছোঁড়া হয়েছিল।
স্কুলের সহ-শিক্ষক খালিদ তনভীর বলছেন, ”আমি ২৫ বছর ধরে এই স্কুলে আছি। কোনওদিন এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়নি। সেকেন্ড পিরিয়ডে ক্লাস চলছিল। আচমকা প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পাই। দেখা যায়, ছাদে বিস্ফোরণ ঘটেছে। যদিও হতাহতের খবর নেই। কিন্তু আমরা আতঙ্কিত। কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ হল বুঝতে পারছি না।” টিটাগড় পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ জলিল বলেন, ”খবরটা পেয়ে এসেছি। সবাইকে আশ্বস্ত করেছি, ভয় পাবেন না। পুলিশ তদন্ত করছে। কারা এর সঙ্গে জড়িত তা ধরা পড়বে।” ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
Be the first to comment