বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৬০ পড়ুয়ার গোপন ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগ উঠল সহপাঠীর বিরুদ্ধে। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায় চণ্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস চত্বরে। ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় লজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক ছাত্রী। যদিও পুলিশ এই অভিযোগ মানতে রাজি নয়। শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। এরপর রবিবার সকালে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অভিযুক্ত ছাত্রী লুকিয়ে লুকিয়ে মেয়েদের স্নানের দৃশ্য রেকর্ড করত বলে অভিযোগ। তারপর সেই ভিডিও হিমাচল প্রদেশের শিমলার এক বন্ধুর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হত। সে এমএমএস বানিয়ে নেটমাধ্যমে আপলোড করে দেওয়া হত। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। শনিবার রাতে উত্তাল হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিক্ষোভ চলাকালীন জ্ঞান হারান এক ছাত্রী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অভিযোগ, স্নানের দৃশ্য ভাইরাল হওয়ার লজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই ছাত্রী। যদিও পুলিশ সে কথা মানতে চায়নি।
এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পাঞ্জাবের প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে পাঞ্জাবের স্কুল শিক্ষামন্ত্রী হরজ্যোত সিং বেইনস টুইট বার্তায় ছাত্রীদের শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন। লেখেন, “চণ্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের শান্ত থাকার আবেদন জানাচ্ছি। কোনও দোষী রেহাই পাবে না। নক্ক্যরজনক ঘটনা। এরসঙ্গে আমাদের মা-বোনেদের সম্মান জড়িয়ে রয়েছে।”
এদিকে লাগাতার ছাত্র বিক্ষোভের জেরে অভিযুক্ত ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দায়ের হয়েছে FIR। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তের খোঁজ শুরু হয়েছে।
Be the first to comment