সায়গলের মা ও স্ত্রীর বিপুল সম্পত্তির হদিশ! দু’জনকে দিল্লিতে তলব করল ইডি

Spread the love

গরু পাচারের টাকা কার অ্যাকাউন্টে গিয়েছে, কোন খাতে খরচ করা হয়েছে সে সব, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই মামলায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। এবার সেই মামলায় তাঁর স্ত্রী ও মা-কে তলব করব ইডি। তাঁদের নামে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই সম্পত্তি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই তলব করা হয়েছে তাঁদের।

কবে যেতে বলা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সদর দফতরে যেতে বলা হয়েছে তাঁদের। সায়গলের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে বলে আগেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কনস্টেবলের চাকরি করে কী ভাবে এত সম্পত্তি করলেন সায়গল হোসেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে আগেই। এবার তাঁর স্ত্রী ও মায়ের সম্পত্তির উৎসও খতিয়ে দেখতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, সায়গল গ্রেফতার হওয়ার পর ওই সব সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা হয়েছিল।

এর আগে রাজ্যে এসে সায়গল হোসেনকে জেরা করতে চেয়েছিল ইডি। কিন্তু সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি। বর্তমানে আসানসোলের কারাগারে রয়েছেন সায়গল।

সিবিআই সূত্রের খবর, সায়গল ও ঘনিষ্ঠজনদের নামে অন্তত ১০০ কোটির মত সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। নিউটাউন, রাজারহাট, লেকটাউন ও বোলপুরে রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট। রয়েছে মোট ৫০ টি জমি। দেওচা পাচামিতে মিলেছে সায়গলের একাধিক ক্র্যাশার মেশিন ও ডাম্পার আর নগদ দু’কোটি টাকা।

ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। তিনিও রয়েছেন আসানসোলের জেলে। সিবিআই-এর তরফে যে চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, সায়গল হোসেন গরু পাচারের টাকা নিতেন অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে। এনামুল হক ও সায়গলকে জেরা করে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। বছর কয়েক ধরেই অনুব্রতর দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করতেন সায়গল। আর তারপর থেকেই তাঁর সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে উঠেছে বলে সূত্রের খবর।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*