রাজ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়তা নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব পেশ বিধানসভায়। প্রস্তাবের ছত্রে ছত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ রাজ্যের। রাজ্য সরকারের দাবি, বাংলায় নির্বাচনে জয় না পেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ উঠেছে। স্বৈরাচারী ভূমিকা পালন করছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রাজ্যের শাসকদলের নেতা, মন্ত্রীদের নিশানা করছে। এই মর্মেই নিন্দা প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে বিধানসভায়। যদিও রাজ্যের এই পদক্ষেপের তুমুল সমালোচনা করেছে বিজেপি।
সোমবার বিধানসভার ১৬৯ ধারা মোতাবেক ‘নিন্দা প্রস্তাব’ পেশ করেন রাজ্যের শাসকদলের দুই বিধায়ক নির্মল ঘোষ এবং তাপস রায়। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বিগত কয়েক বছর ধরে কিছু বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। উক্ত তদন্তকার্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি নিরপেক্ষতা বজায় না রেখে শুধুমাত্র রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ক এবং নেতৃবৃন্দকে নিশানা করছে। এবং তদন্তপ্রক্রিয়া চালানোর নামে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে।
ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছে রাজ্যের শাসকদল। এ প্রসঙ্গে নিন্দাপ্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের এবং নেতৃবৃন্দ যাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে তাঁদের প্রতি নরম মনোভাব প্রদর্শন করছে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে শাসক দলের জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দকে হয়রান ও গ্রেপ্তার করে রাজ্যে এক অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
তৃণমূলের পরিষদীয় দলের আরও দাবি, বিজেপির একাধিক বিধায়কের বিরুদ্ধে চিটফান্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে, তারপরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বরং শাসকদলের জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি শুভাকাঙ্খী ব্যবসায়ী, কৃষক, ছাত্রযুবদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। এমনকী, ২০২১ সালের একাধিক বিধায়কের নামে চার্জশিট দাখিল করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেক্ষেত্রে বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়নি।
তৃণমূলের পরিষদীয় দলের এই ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, “নেই কাজ তো খই ভাজ। তৃণমূলের রাস্তায় নেমে কোনও আন্দোলন নেই তৃণমূলের। বিধানসভায় ওদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, তাই এসব বিল আনছে।”
Be the first to comment