কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজে টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় এবার তদন্ত করবেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক। আগামী ৪ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানিতে এ নিয়ে তাঁকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ওই নির্মাণ প্রকল্পের অডিট হয়েছে কিনা, সেই সময় কারা কারা দায়িত্বে ছিলেন, এই সংক্রান্ত বিস্তারিত বিষয় রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। তবে আপাতত সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না।
২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজের প্রেসিডেন্ট ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। সেই সময়ে তিনি কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ে কলেজের লেডিজ ও বয়েজ হস্টেল বিল্ডিং, লাইব্রেরি ও অধ্যাপকদের জন্য বিল্ডিং-সহ মোট ৬টি বিল্ডিংয়ের বেআইনিভাবে অনুমোদন দিয়েছিলেন সৌমেন্দু। মামলায় আরও অভিযোগ, সে সময় কোনওরকম টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়াই ওই বিল্ডিংগুলির অনুমোদন দেন তিনি। যাকে কেন্দ্র করে ২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।
এই মর্মে কাঁথি থানায় অভিযোগ করেন আবু সোহেল নামের এক ব্যক্তি। পরে নিম্ন আদালতের নির্দেশে ও অভিযোগের ভিত্তিতে সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে মামলা রুজু করে পুলিশ। ওই এফআইআর খারিজের আরজি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমেন্দু। সেই মামলায় আপাতত স্বস্তিতে কলেজের তৎকালীন সভাপতি সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে আগামী ১১ নভেম্বর পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। পাশাপাশি, জেলাশাসককে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, সারদা মামলায় এমনিতেই একাধিক অভিযোগে জর্জরিত অধিকারী পরিবারের। তার মধ্যে এই নতুন দুর্নীতির অভিযোগ বেশ বেকায়দায় ফেলেছে সৌমেন্দু অধিকারীকে। যদিও আপাতত সাময়িক স্বস্তিতে তিনি।
Be the first to comment