প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার জল গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতে স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) দাখিল করলেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। কলকাতা হাই কোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে, এমন অভিযোগ উঠছিল বহুদিন ধরে। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। সেই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির দায়িত্বে থাকা এসপি সিনহা ও অশোক সাহা। পরে গ্রেপ্তার করা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। তাঁকে তলবও করে তদন্তকারীরা।
সম্প্রতি হাই কোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই চার্জশিটের রয়েছে মানিকের নাম। এমনকী চার্জশিট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, টেট ও ইন্টারভিউ নিয়ে মানিক ভট্টাচার্য প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে দশ মিনিটের জন্য দেখা করবেন বলে জানান। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২ টা বেজে ৫ মিনিটে ওই মেসেজের উত্তর দেন পার্থ। লেখেন, ‘ওকে’। গত বছর ১০ জানুয়ারি মানিক ভট্টাচার্য মেসেজ করে পার্থকে জানান, “ইন্টারভিউ ভালভাবেই শুরু হয়েছে।” উত্তরে পার্থ ধন্যবাদ জানান। মানিক যেমন তেমন ভাবে টাকা তোলেন, এমন অভিযোগ পার্থর কাছে করেছিলেন একজন। সেই মেসেজ মানিককেই ফরোয়ার্ড করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও এর কারণ পার্থবাবু জানাতে চাননি বলে চার্জশিটে উল্লেখ করে ইডি।
মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি হয়। তা সত্ত্বেও তাঁর কোনও ‘খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না’। লুকআউট নোটিসের মাঝে ফোন, ভিডিও কলের পর এবার সশরীরে দেখাও দেন মানিক। যাদবপুরের ফ্ল্যাটেই দেখা পাওয়া গিয়েছিল তাঁর। গত বুধবার একটানা সাড়ে ছ’ঘণ্টা মানিককে জেরা হয়। এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মানিক ভট্টাচার্য।
Be the first to comment