দলের পরবর্তী জাতীয় সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে চলছে জোর জল্পনা। সভাপতি নির্বাচন হলেও, খুশি নন দলীয় কর্মীদের একাংশ, কারণ এবারের নির্বাচনের অংশ হচ্ছেন না গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য। রাহুল গান্ধীকে বারংবার অনুরোধ করা হলেও, তিনি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে দায়িত্ব নিতে নারাজ দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীও। বাকি রইলেন শুধু প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। এবার তাঁকেই দলের সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী করার দাবি জানালেন কংগ্রেস সাংসদ আব্দুল খালেক। প্রিয়ঙ্কাকে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করার পিছনে যুক্তিও দিলেন। তাঁর দাবি, বিয়ের পর প্রিয়ঙ্কা আর গান্ধী নেই, তিনি বঢ়রা হয়ে গিয়েছেন। সুতরাং অ-গান্ধী মুখ হিসাবে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতেই পারেন।
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ এগিয়ে আসতেই বরপেটার সাংসদ টুইট করে বলেন, “যেহেতু রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করতে অস্বীকার করছেন, তাই আমার মতে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীই সভাপতি হিসাবে সেরা প্রার্থী। বর্তমানে তিনি বঢ়রা পরিবারের পুত্রবধূ হওয়ায়, ভারতীয় সংস্কৃতি মতে গান্ধী পরিবারের আর সদস্য নন তিনি। সুতরাং নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে কোনও সমস্যাই থাকা উচিত নয়।”
শুধু আব্দুল খালেকই নন, এর আগে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও একাধিকবার গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্যকে কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করার দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বরাবরই রাহুল গান্ধীর নাম সুপারিশ করেছেন সভাপতি হিসাবে। সম্প্রতিই গেহলটে বলেন, “আমি ওনাকে (রাহুল গান্ধী) একাধিকবার অনুরোধ করেছি। উনি বলেছেন যে সকল কর্মীই যে চান ওনাকে সভাপতি হিসাবে দেখতে, তা তিনি জানেন। দলীয় কর্মীদের প্রতি ওনার সম্মান রয়েছে কিন্তু কিছু বিশেষ কারণেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অ-গান্ধী কোনও মুখকে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করার।”
বর্তমানে কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে তিনটি নাম সামনে রয়েছে। তারা হলেন সাংসদ শশী থারুর, মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দ্বিগিজয় সিং ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
Be the first to comment