প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা জলপাইগুড়িতে। হড়পা বানে ভেসে গেলেন বেশ কয়েকজন। বুধবার সন্ধ্যায় নদীতে আচমকাই ফুলে ফেঁপে ওঠে জল। আর জলের তোড়ে ভেসে যান অনেকে। এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। অনেকেই নদীর মাঝে থাকা স্থলভাগে আটকে রয়েছেন বলে খবর। নিখোঁজ অন্তত ৪০। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে মালবাজারের দুর্ঘটনায় আর্থিক সাহায্য ঘোষণা পিএমও-র। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের পঞ্চাশ হাজার টাকা সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলার মাল বাজার এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এ দিন দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন চলছিল মাল নদীতে। সেই বিদায় দৃশ্য দেখার জন্য উপস্থিত ছিলেন অনেকেই। আর সেই নিরঞ্জন চলাকালীনই বিপর্যয়। হঠাত্ করেই নদীতে জল বেড়ে যায়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই অনেকে পড়ে যান নদীর জলে। মাঝ নদীতে আটকে পড়ে গাড়িও।
পাহাড়ি এলাকায় নদীর চেহারা পাল্টে যেতে পারে যখন-তখন। আর সেটাই হল মাল নদীতে। জানা গিয়েছে, হঠাত্ করে পাহাড় থেকে জল নেমে আসে এ দিন। জলের স্রোত আচমকা এত বেড়ে যায় যে টাল সামলাতে পারেননি উপস্থিত মানুষজন। উদ্ধার কাজ চালাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এনডিআরএফ। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। যাঁদের উদ্ধার করা হচ্ছে, তাঁদের স্থানীয় মালবাজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালেই ঘটনাস্থলে যাবেন তিনি। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে নদীর মাঝে কেন ট্রাক নিয়ে যাওয়া হল? সেই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, এই ঘটনার কোনও সতর্কতা আগে থেকে নেওয়া সম্ভব ছিল না। যা জল ছিল, তার পাঁচগুল জল বেড়ে যায়। এ ব্যাপারে জেলা শাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
Be the first to comment