গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মোমিনপুর যাওয়ার পথে চিংড়িঘাটায় গ্ৰেফতার সুকান্ত মজুমদার

Spread the love

গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মোমিনপুর। ওই এলাকায় যাওয়ার পথে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বাধা দেওয়া হয়। চিংড়িঘাটায় গার্ডরেল দিয়ে তাঁর পথ আটকানো হয়। আটকও করা হয় তাঁকে। এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল ও অমিত শাহকে চিঠি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আরজি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে খবর।

রবিবার মোমিনপুরের স্থানীয় দুই গোষ্ঠী অশান্তিতে জড়িয়ে পড়ে। প্রথমে বচসা। পরে সময় যত গড়াতে থাকে, অশান্তি বিরাটাকার ধারণ করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর শুরু হয়। কাচের বোতল ছোঁড়াছুঁড়িও হয়। হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নামানো হয়েছে র‌্যাফ। সোমবার সকালেও নজরদারি চলে।

এদিন ওই এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। সেই অনুযায়ী এদিন বেলায় রওনা হন তিনি। চিংড়িঘাটায় গার্ডরেল দিয়ে রাস্তা ঘিরে দেওয়া হয়। মোমিনপুর যেতে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। তাতেই মেজাজ হারান সুকান্ত। পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েও পড়েন তিনি। এরপরই আটক করা হয় সুকান্তকে। প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ১৪৪ ধারা জারি না হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁকে যেতে বাধা দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত। তাঁকে আটক করার পর লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের দাবি, মোমিনপুরের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে বাধা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, অশান্তির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যপাল লা গণেশন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উষ্মা প্রকাশও করেন তিনি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*