রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, আগামী বছর জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা। সেজন্য আর দিনকয়েক পরই ২২ জেলায় ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হবে।
সাধারণত যে কোনও নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন একটি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। তারপর ভোটারদের আবেদন এবং অভিযোগের ভিত্তিতে সেই ভোটার তালিকায় সংশোধন করা হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, আগামী ১৯ অক্টোবর রাজ্যের ২২টি জেলার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে তা আগামী ২ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত লিখিতভাবে জানাতে হবে। এরপরই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে। সেই ভোটার তালিকার ভিত্তিতেই হবে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন আগামী বছরের শুরুতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হবে। সেইমতো রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটপ্রক্রিয়া শুরু করার তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
পুজোর পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলি কমবেশি নিজেদের মতো করে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে। জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে জনসংযোগ শুরু করেছে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, এই সভাগুলি থেকে মানুষকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ভাল কাজগুলি মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির কথাও মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
তৃণমূলের পালটা বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে জনসংযোগ করার চেষ্টা করছে বিজেপিও। যদিও গেরুয়া শিবিরের নিচুতলায় সংগঠনের শোচনীয় অবস্থা। অধিকাংশ জেলা ও মণ্ডল পঞ্চায়েত সাব কমিটিই এখনও তৈরি করা যায়নি বলে দলীয় সূত্রে খবর। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যা ভাবাচ্ছে রাজ্য নেতাদের। সমস্যা মেটাতে বিজেপি একটি কমিটিও গড়ে ফেলেছে।
এদিকে বামেরা বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূল স্তর থেকে জনসংযোগ শুরু করেছে। রাজ্য নেতারা জেলায় জেলায় গিয়ে সভা করছেন। কংগ্রেসের তরফে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার আদলে ‘সাগর থেকে পাহাড়’ যাত্রার সূচনা করা হয়েছে।
Be the first to comment