ক্রিকেট প্রশাসনেই থাকছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিসিসিআই থেকে ক্ষমতাচ্যুত ‘মহারাজ’ ফের লড়বেন সিএবি প্রেসিডেন্ট পদে। শনিবার নিজের মুখেই সেকথা জানিয়ে দিলেন বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থার প্রাক্তন প্রধান। সৌরভ সাফ বলে দিলেন,”আমি সিএবি নির্বাচনে দাঁড়াব। আমার বিরুদ্ধে অনেকরকম কুৎসা করা হচ্ছে। সেসবের জবাব দিতেই ভোটে দাঁড়াচ্ছি।”
আসলে সৌরভ বোর্ডের পদ খোয়াচ্ছেন, সেটা নিশ্চিত হতেই সিএবিতে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে গিয়েছে। যে বিরোধী গোষ্ঠীর অন্যতম মুখ সিএবিরই প্রাক্তন এক পদাধিকারী। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও সৌরভকে নিয়ে বিস্তর লেখালেখি করেছেন। এমনকী সিএবির আসন্ন নির্বাচনে বিরোধীদের এই গোষ্ঠী নিজেদের মতো করে প্যানেল তৈরি করে প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করছে, বলে শোনা যাচ্ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার সেইসব ‘কুৎসা’র জবাব দিতেই সৌরভ ফের সিএবির রাজনীতিতে অবতীর্ণ হচ্ছেন বলে খবর।
আগামী ৩১ তারিখ সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভা। ২২ তারিখ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার আগেই প্রেসিডেন্ট পদে সৌরভ মনোনয়ন দিয়ে দেবেন বলে খবর। যদিও সৌরভের প্যানেল এখনও ঠিক হয়নি। সিএবির বর্তমান প্রসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সৌরভের সঙ্গেই আছেন কারণ সৌরভ যদি অধিনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে যান, তাহলে লড়াইটা অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
প্রাক্তন হতে চলা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনওরকম সমঝোতার পথে তিনি হাঁটবেন না। তাতে যদি নির্বাচনে যেতে হয়, আপত্তি নেই। এখন দেখার সৌরভ নিজে আসরে নামার পর বিরোধী গোষ্ঠী আদৌ প্রার্থী দেয় কিনা। বিরোধীরা প্রার্থী দিলে বঙ্গ ক্রিকেটে মহারাজের প্রত্যাবর্তনের সরকারি ঘোষণার জন্য ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর কেউ প্রার্থী না দিলে ২২ অক্টোবরই সিএবিতে সৌরভের প্রত্যাবর্তনে সিলমোহর পড়ে যাবে।
সৌরভের সিএবি প্রেসিডেন্ট পদে ফেরা নিয়ে কোনওরকম আইনি বাধাও থাকার কথা নয়। কারণ, সিএবিতে তিনি ছিলেন সাড়ে ৫ বছর মতো। তারপর ছিলেন বিসিসিআইয়ের পদে। সে অর্থে দেখতে গেলে তাঁর ‘কুলিং অফ’ পিরিয়ডের ঝামেলাও মিটে গিয়েছে। তবে আইনি কোনও জটিলতা আছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখছে সৌরভ শিবির।
Be the first to comment