আবারও জামিনের আবেদন খারিজ হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানির। দীর্ঘ ৪৪ দিন সংশোধনাগারে থাকার পরেও জামিন হল না তাঁর।
শনিবার রাজু সাহানির জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। আসানসোল সিজেএম আদালতে বর্ধমান সন্মার্গ চিটফান্ড মামলার বিচারক তরুণ কুমার মণ্ডলের এজলাসে এই আবেদন করেন তিনি। অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, ‘আদালতের দেওয়া সব শর্ত মানবেন রাজু। এই মামলায় প্রধান অভিযুক্তরা জামিন পেলেও অহেতুক তাঁকে জেলবন্দি করে রাখা হচ্ছে।
প্রায় ৪৪ দিন ধরে জেলবন্দি তিনি। এই সময়ে তাঁকে একবারও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি সিবিআই। কাজেই হেফাজতে রাখার কোনও অর্থ হয় না।’ অন্যদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবী শিবেন্দ্র সাচ্চান রাজু সাহানিকে গোটা ষড়যন্ত্রে সৌম্যরূপ ভৌমিকের অংশীদার বলে অভিহিত করে বলেন, ‘তদন্ত চলছে। ব্যাঙ্কের লেনদেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে বিদেশি সংস্থার লেনদেনও। এই অবস্থায় রাজুকে যেন কোনও ভাবেই জামিন না দেওয়া হয়।’
এরপর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে ১৪ দিনের জেল হেপাজত হয় রাজুর। এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর রাজুকে আসানসোল সিজেএম আদালতে তোলা হয়েছিল। সেদিন জামিনের আবেদন খারিজ হয়। কিন্তু পুজোর ছুটির জন্য ১৪ দিনের পরিবর্তে জেল হেপাজত হয় ও ১৫ অক্টোবর হাজিরার নির্দেশ ছিল।
তবে এদিন আদালত চত্বরে দেখা গেল অন্যরমক দৃশ্য। রাজুর স্ত্রীকে এতদিন দেখা যেত আদালতে। এদিন আদালতে রাজুর তিন বছরের মেয়ে ও ৬ বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বিচারপ্রক্রিয়া চালুর আগে এজলাসে লকআপে থাকা রাজুকে তাঁর ছোট্ট মেয়ে ছলছল চোখে হাত নাড়েন। ফ্লাইয়িং কিস ছুড়ে দেয়। রাজুও লকআপ থেকে মেয়েকে হাত নাড়েন ও মেয়েকে ইশারা করে সরিয়ে নিয়ে যেতে বলেন। এদিন শুনানির পর যখন আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে ঢুকছিলেন রাজু তখন দেখা যায় রাজুর ৬ বছরের ছেলেকে বাবাকে জড়িয়ে ধরতে। ছেলেকে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে প্রিজন ভ্যানে উঠে যায় হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি। পরবর্তী হাজিরা ২৯ অক্টোবর।
Be the first to comment