সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ থাকার পরও গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। রক্ষাকবচ থাকা সত্ত্বেও ইডি এভাবে গ্রেফতার করতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ইডি হেফাজতে থাকা তৃণমূল বিধায়ক মানিক। এবার সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন মানিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে কী কী প্রমাণ মিলেছে, সেই সব তথ্য এ দিন হলফনামায় উল্লেখ করেছে ইডি। কেন গ্রেফতার করা দরকার ছিল, সেই ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সেই হলফনামা পেশ করা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০ কোটি টাকার কথা। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি উদ্ধার হওয়া সেই বিপুল টাকার সঙ্গে প্রাথমিক মামলা জড়িত বলে দাবি ইডির। অথচ সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলছেন না মানিক। সুপ্রিমকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছিল, মানিককে সহযোগিতা করতে হবে তদন্তকারীদের। কিন্তু এখনও তিনি টাকা নিয়ে মুখ খোলেন নি। ফলে ইডির দাবি, মানিককে গ্রেফতার করে কোনও ভুল করেনি তদন্তকারী সংস্থা।
ইডি-র আরও জানিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্য টাকার বদলে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিয়েছিলেন সেই তথ্যও উঠে এসেছে তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে। হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে মানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ডিজিটাল প্রমাণ। তাঁর বাড়ি থেকে একটি সিডি উদ্ধারের কথা জানিয়েছে ইডি, যেখানে রয়েছে ৬১ জন টেট প্রার্থীর নাম ও রোল নম্বর। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, পশ্চিবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে সংশ্লিষ্ট নিয়োগের প্যানেল পাওয়া গিয়েছে, তাতে ওই ৬১ জনের মধ্যে থাকা ৫৫ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। সেই তদন্তও চলছে বলে দাবি করেছে ইডি।
এ ছাড়া, মানিকের ছেলের অ্যাকাউন্টে থাকা কয়েক কোটি টাকা, মানিকের সঙ্গে চাঁর পরিবারের সদস্যদের লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
Be the first to comment