সপ্তাহের শুরুতেই মালবাজারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দশমীর রাতে মাল নদীতে হড়পা বানে মৃত আট জনের পরিবারের সঙ্গে এদিন দেখা করতে পৌঁছালেন মুখ্যমন্ত্রী। শোকসন্তপ্ত পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। এদিন কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রওনা দেওয়ার সময়েই তিনি মালবাজারের বিপর্যয় নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন। সঙ্গে এও জানিয়েছিলেন, কার্নিভাল চলার কারণে তিনি যেতে পারেননি। তবে তিনি যে সব সময় খোঁজখবর নিয়েছেন, তাও এদিন কলকাতা বিমানবন্দের দাঁড়িয়ে জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছেন, “আমি সঙ্গে সঙ্গে বলেছি। উদয়ন গুহ, বুলুচিকি বরাইক, মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান সকলে পড়ে থেকে কাজ করেছে।”
পূর্বের সূচি অনুযায়ী, আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার মালবাজারে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু সূচি বদলে এদিনই বিকেলে মৃত তপন অধিকারীর বাড়িতে পৌঁছে যান তিনি। সঙ্গে রয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সহ অন্যান্যরা। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিপর্যয়, দুর্যোগ, অঘটন ঘটে। মালে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। হড়পা বানে বা জলটি কোথা থেকে এসেছে, সেটি পরে তদন্ত করে বেরোবে। আটজন মারা গিয়েছেন। আমি নিজে ছয়জনের বাড়িতে গিয়ে দেখা করলাম। আর একজনের পরিবার এখানে নেই। তাঁরা গয়ায় গিয়েছেন। আমি এদের সঙ্গে কথা বলে গেলাম।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আগামিকাল বৈঠক আছে। যে ছেলে-মেয়েরা সবার জীবন বাঁচিয়েছে, আমি তাঁদেরও কাল বৈঠকে ডেকেছি। তাই বৈঠকের আগে একটু সবার সঙ্গে দেখা করে গেলাম। যে দুটি পরিবার আছে ওদের সঙ্গে দেখা করতাম। কিন্তু পুলিশ খবর দিল ওরা এখানে নেই, বাইরে গিয়েছে।”
সূচি অনুযায়ী, সোমবার তাঁর সরাসরি রিসর্টে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল। আগামিকাল দুপুর একটায় প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে মাল আদর্শ বিদ্যাভবনে। সেই প্রশাসনিক বৈঠক শেষে মালবাজারে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার ছিল। কিন্তু আচমকাই সূচি বদলে হেলিকপ্টার থেকে নেমে সোজা তিনি চলে আসেন মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। স্বজনহারাদের পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক আধিকারিক, বিপর্যয় মোকাবিলা দলেরও ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
Be the first to comment