স্টুডিও ভাঙার সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দারস্থ হল প্রযোজনা সংস্থা কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি স্টুডিওর গোডাউনে আগুন লাগে। পুড়ে খাক হয়ে যায় গোডাউনের অর্ধেকেরও বেশি অংশ। পাশের বস্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গুদামে বহু সামগ্রী আগুনে পুড়ে যায় বলে দাবি করে কর্তৃপক্ষ৷ এরপরই পুরসভা সিদ্ধান্ত নেয় গুদাম ভেঙে দেওয়া হবে। সেই কাজ শুরু হয়েছে। কাজ বন্ধের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা দায়ের করে স্টুডিও কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, এমনিতেই আগুনে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। অত্যাধুনিক অনেক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে। এরপর এই ভাবে ভাঙার ফলে স্টুডিওর জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এই আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন স্টুডিও কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ঘরে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর টলিগঞ্জে প্রযোজনা সংস্থার গোডাউনে আগুন লাগে। একটি অতি জীর্ণ ভবনে প্রযোজনা সংস্থাটির গোডাউন ছিল। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, শর্ট সার্কিট থেকেই কোনওভাবে আগুন লেগে যায়। ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপক আশঙ্কা ছিল। পাশের আবাসনের বাসিন্দা ও দমকলের তৎপরতায় দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
গোডাউনের ভবন অত্যন্ত পুরনো, সেখানে অগ্নি নির্বাপক অত্যানুধিক কোনও ব্যবস্থাও ছিল না বলে অভিযোগ। এদিকে আবার সামনের রাস্তাও ছিল অত্য়ন্ত সংকীর্ণ। সেই রাস্তা দিয়ে গোডাউনে দমকলের ইঞ্জিন ঢুকতেও সমস্যা হয়েছিল। সামনে থেকে জল আনারও সুযোগ ছিল না। এমন একটি জায়গায় কীভাবে এক বড় প্রযোজনা সংস্থার গোডাউন থাকতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
আগুনে আশুপাশের বস্তি এলাকা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর পুরসভার তরফে এই গোডাউনটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে প্রযোজনা সংস্থা কর্তৃপক্ষের দাবি, আগুনে এমনিতেই অত্যন্ত মূল্যবান অত্যাধুনিক জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে আপাতত এই ভাঙার কাজের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে আর্জি করেছেন গোডাউন কর্তৃপক্ষ।
Be the first to comment