কংগ্রেস সভাপতি পদে শপথ মল্লিকার্জুন খাড়গের

Spread the love

কংগ্রেসের নতুন সভাপতির পদে শপথ নিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। গত ২৪ বছরের মধ্যে তিনিই প্রথম অ-গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি। বুধবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সোনিয়া গান্ধী খাড়গেকে অভিনন্দন জানিয়ে বললেন, খাড়গের মতো অভিজ্ঞ নেতাকে সভাপতি পদে পেয়ে তিনি স্বস্তি পেয়েছেন। কিন্তু তিনি এমন বললেও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গান্ধীদের নিয়ে যে উচ্ছ্বাস, তা থেকে প্রশ্নটা রয়েই যায়, আদৌ কি গান্ধী পরিবারের নিয়ন্ত্রণ-মুক্ত হতে পারবে শতাব্দীপ্রাচীন দলটি? নাকি খাড়গের সভাপতিত্বের দিনেও ‘রিমোট কন্ট্রোল’ গান্ধীদের হাতেই? দ্বিতীয় সম্ভাবনার পক্ষেই সওয়াল ওয়াকিবহাল মহলের।

এদিনের অনুষ্ঠানে সোনিয়াকে বলতে শোনা যায়, ”খাড়গেজি একজন অভিজ্ঞ নেতা। একজন সাধারণ কর্মী থেকে কঠোর পরিশ্রম করে আজ তিনি এখানে পৌঁছেছেন। সমস্ত দলীয় কর্মীদের কাছেই তিনি অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করবেন।” সেই সঙ্গে সোনিয়া মেনেও নেন, সাম্প্রতিক সময়ে বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে কংগ্রেসকে। তবে এতদসত্ত্বেও যে তাঁর দল হার মানেনি তাও জানান দলের প্রাক্তন সভাপতি। তাঁর আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা, ”আমাদের লড়াই চলবে। আর এভাবেই আমরা সফল হব। অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশে এই মুহূর্তে গণতন্ত্রের বিপণ্ণতা।”

এদিকে খাড়গের ভাষণে উঠে এসেছে গত মে মাসে রাজস্থানে হওয়া কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের কথা। তাঁর কথায়, ”যে নীল নকশা আমরা চিন্তন শিবিরে প্রস্তুত করেছি সেটাকে সফল করে তোলাই আমাদের দায়িত্ব।” পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর প্রশস্তিও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে।

এদিনের সভায় মঞ্চে সোনিয়া ছাড়াও দেখা গিয়েছে রাহুলকেও। কিন্তু স্থান হয়নি প্রিয়াঙ্কার। তিনি বসেছিলেন দর্শকাসনের প্রথম সারিতে। কিন্তু তিনি মঞ্চে না থাকলেও সকলের নজর ছিল তাঁর দিকেও। এছাড়া রাহুল-সোনিয়াকে ঘিরে উচ্ছ্বাস তো ছিলই। যা ফের এই সম্ভাবনাই পরিষ্কার করে দিয়েছে, ক্ষমতার আসল ব্যাটন থাকবে গান্ধীদের হাতেই। খাড়গের রাহুল-প্রশস্তিতেও সেই ইঙ্গিতই খুঁজে পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল। 

এর আগে স্বয়ং রাহুল গান্ধী ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-য় অন্ধ্রপ্রদেশে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেস সভাপতির ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে মন্তব্য করতে পারব না। খাড়গেজি-ই বলবেন। আর আমার ভূমিকা কী হবে, তা নতুন কংগ্রেস সভাপতি ঠিক করবেন।’’ এরপরই প্রশ্ন উঠেছিল, ফল-ঘোষণার আগেই রাহুল কীভাবে বলে দিলেন, খাড়গেই নতুন সভাপতি? একবার নয়, দু’টি ভিন্ন প্রশ্নে সাংবাদিকদের কাছে রাহুল এমন কথা বলেছেন। তখনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ ভারতের বর্ষীয়ান দলিত নেতা খাড়গে দলের শীর্ষ পদে বসলেও রাহুল-সোনিয়ারাই দলের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে থেকে যাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*