ঘৃণামূলক ভাষণের জন্য বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এদিনই সজাগ ঘোষণা করা হলো সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের। উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগে প্রভাবশালী ওই সমাজবাদী নেতাকে তিন বছরের জেল ও ২০০০ টাকা জরিমানা করেছে উত্তর প্রদেশের এক আদালত।
আজম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং আইএএস অফিসার অঞ্জনেয়া কুমারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি। তার দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রী মোদি সারা দেশে এমন এক বাতাবরণ তৈরি করেছেন, যেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের পক্ষে অস্তিত্ব রক্ষাই কঠিন হয়ে পড়েছে। আজম খানের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। এই মামলাতেই এবার কড়া পদক্ষেপ নিল আদালত।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার এবং দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখন্ডের রাজ্য সরকারকে হেট স্পিচের অপরাধের মামলায় কঠোর পদক্ষেপ করতে বলেছিল। এই বিষয়ে দেরি করা হলে, তা আদালত অবমাননার সামিল বলে ধরা হবে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশমতো উত্তরপ্রদেশের প্রভাবশালী এই সপা নেতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হল। অবশ্য আগে জমি দখলের এক মামলায় প্রায় দুই বছর ধরে সীতাপুর জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন আজম। উল্লেখ্য, তিন বছরের জন্য কারাদণ্ড হওয়ার ফলে, উত্তর প্রদেশ বিধানসভার সদস্যপদও হারাবেন তিনি।
Be the first to comment