টুইটারের মালিক মাস্ক, দায়িত্ব নিয়েই সরালেন সিইও পরাগকে

Spread the love

টুইটার অধিগ্রহণ করতেই শীর্ষ আধিকারিকদের ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটলেন এলন মাস্ক। ইতিমধ্যেই টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল ও সংস্থার ‘চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার’ নেড সেগালকে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর। শুধু তাই নয়, তাঁদের সানফ্রানসিসকোয় টুইটারের সদর দফতর থেকেও কার্যত বের করে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি বিবৃতি দিয়ে জানান যে, তিনি টুইটার অধিগ্রহণ করছেন। ‘মানবতার স্বার্থেই’ তাঁর এই পদক্ষেপ বলে বার্তা দেন মাস্ক। এ নিয়ে টুইটারে মাস্ক লিখেছেন, ‘‘কেন আমি টুইটার অধিগ্রহণ করলাম সে ব্যাপারে সকলকে জানাতে চাই। আরও অর্থ উপার্জনের জন্য কিনিনি। মানবতার জন্য কিনেছি। মানবতার ভবিষ্যৎ এমন হওয়া উচিত যেখানে সমস্ত পক্ষের স্বাধীন মতামত প্রকাশের একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থাকবে। সুস্থ পরিবেশে বিতর্ক হবে।’’ পাশাপাশি মাস্ক এও বলেছেন, ‘‘বর্তমানে বিপজ্জনক পরিস্থিতি রয়েছে, যেখানে সমাজমাধ্যম কট্টর দক্ষিণপন্থী ও কট্টর বামপন্থীদের কয়েকটি গোষ্ঠীতে ভাগ হতে চলেছে। যা সমাজে ঘৃণা ও বিভাজন বাড়াবে।’’

গত বছর ডিসেম্বর থেকে টুইটারের সমস্ত শেয়ার নিজের নামে করে নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগেন মাস্ক। নানা টালবাহানার পর এপ্রিলে ‘বেস্ট বাই’ অফার দিয়ে সমস্ত শেয়ার নিজের নামে করে নেওয়ার জন্য শেয়ার হোল্ডারদের রাজি করিয়ে ফেলেন তিনি। যদিও তার কিছুদিন পরেই ‘কিনবেন না’ জানিয়ে টুইটার বিতর্ক জলঘোলা করেন তিনি। মাস্ক হঠাত চুক্তি থেকে সরার চেষ্টা করতেই আদালতে যান টুইটার সিইও পরাগ আগরওয়াল।

আদালতের নির্দেশ ছিল, শুক্রবারের মধ্যে টুইটারের সঙ্গে পুর্বতন চুক্তিমতো লেনদেন সম্পূর্ণ করতে হবে তাঁকে। সেই ডেডলাইনের কিছুক্ষণ আগে টুইটার কেনার চুক্তি সম্পন্ন করেছেন মাস্ক। মোট ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি সম্পূর্ণ করতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে মাস্ককে। এই বিপুল অঙ্কের লেনদেন করার জন্য তাঁকে বড় অঙ্কের ঋণ নিতে হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

তবে মাস্ক জানিয়েছেন কোম্পানি কেনার খরচ জোগান দিতে কর্মী ছাঁটায়ের পথেই হাঁটবেন তিনি। এরপর টুইটার অধিগ্রহণের পর সিইও-সহ কয়েক জন আধিকারিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংস্থার কর্মীদের মধ্যে আশঙ্কার মেঘ দানা বেঁধেছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*