এক দেশ এক উর্দি! পুলিশের এক পোশাকের পক্ষে সওয়াল মোদির

Spread the love

এবার এক দেশ এক ইউনিফর্মের দাবিতে সরব হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের চিন্তাম শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশ জুড়ে পুলিশের এক ইউনিফর্মের প্রস্তাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সারা দেশে পুলিশের জন্য এক উর্দির ধারণা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই আমি এটি একটি ধারণা মাত্র। আমি কোনোভাবেই এটা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি না। ৫, ৫০ বা ১০০ বছরে ঘটতে পারে এটা। শুধু এটা নিয়ে ভেবে দেখতে পারেন। এর পাশাপাশি অপরাধ মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে রাজ্যের সমন্বয়ের দাবিতে সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী।

শুক্রবার চিন্তন শিবিরে ভার্চুয়াল ভাষনে অপরাধ দমনে রাজ্য গুলির সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার দাবি করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি এখন আরও কোনও একটি রাজ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অপরাধ আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্জাতিকে পরিণত হচ্ছে। প্রযুক্তির সাথে, অপরাধীরা এখন সীমানা ছাড়িয়ে অপরাধ করার ক্ষমতা রাখে। এই হিসাবে, সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রের সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির পক্ষপাত দুষ্ট ও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার নিয়ে বিরোধীরা যখন সরব ঠিক সেই সময় মোদির এহেন ও আবেদনের বিরোধিতা করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কেন্দ্রে তখন ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ সরকার। সে সময় এই কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরোধিতায় সরব হয়ে উঠেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। অভিযোগ করেছিলেন গুজরাটে বিজেপিকে অপদস্ত করতে রাজনৈতিক স্বার্থে এজেন্সি গুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত সেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয়ের বার্তা কিভাবে দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি?

এছাড়াও শুক্রবার চিন্তন শিবিরের আয়োজনে প্রশংসা করার পাশাপাশি অপরাধ দমনে প্রযুক্তির ব্যবহার প্রসঙ্গে মোদি বলেন, আমরা 5G যুগে প্রবেশ করেছি। এই সময়ে অপরাধীদের শনাক্তকরণে ব্যবহৃত প্রযুক্তির আরও উন্নতি ঘটাতে হবে। পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট শনাক্তকরণ প্রযুক্তি, ড্রোন এবং সিসিটিভি প্রযুক্তিরও বহুগুণ উন্নতি হবে বলে আমার আশা। অপরাধীদের থেকে দশ ধাপ এগিয়ে থাকতে হবে আমাদের।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*