চারদিনের জেল হেফাজত শেষে শুক্রবার ফের আদালতে তোলা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে। আদালতে মানিক ভট্টাচার্যর আবেদন, “যখনই ইডি ডেকেছে, তখনই গিয়েছি। লিখিত ভাবে সব বয়ান দিয়েছি, ব্যাঙ্কের তথ্য দিয়েছি। বারবার বলা হচ্ছে সহযোগিতা করিনি। যতবার ডাকা হয়েছে ইডির দফতরে গিয়েছি, কোথায় সহযোগিতা করিনি?’’
অন্যদিকে ইডির দাবি, “নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ আছে মানিকের। মানিকের পরিবারের একাধিক সদস্যর সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট মিলেছে। মানিকের স্ত্রীর অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিক জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। মানিকের স্ত্রীর জয়েন্ট অ্যাকাউন্টগুলিতে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন টাকা। এরই পাশাপাশি, মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতারির দু মাসের মধ্যেই চার্জশিট দিতে চলেছে ইডি। ডিসেম্বর প্রথম সপ্তাহেই চার্জশিট জমা দেওয়ার সম্ভাবনা।
প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে রেখেই বিচার প্রক্রিয়া চালাতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। মানিকের চার্জশিটে টাকার বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগ। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেআইনি লেনদেনের। মানিকের পরিজনদের নামে ভুঁইফোড় অ্যাকাউন্টের অভিযোগ-ও রয়েছে চার্জশিটে।
আদালতে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রশ্ন, মৃত ব্যক্তির সঙ্গে মানিকের স্ত্রীর যৌথ অ্যাকাউন্ট কেন ছিল? ৬ বছর আগে মৃতের সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে মানিকপত্নীর, সেখানে ৩ কোটি টাকা আছে। পাশাপাশি, মানিক ভট্টাচার্যের আত্মীয়দের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ কোটির হদিশ পেয়েছে ইডি। উদ্ধার হওয়া সিডিতে ৪ হাজার প্রার্থীর তালিকা মিলেছে। সিডিবন্দি তালিকার ২৫০০ জনকে চাকরি দেওয়ার দাবি করেছিল মানিক ভট্টাচার্য, DLED রেজিস্ট্রেশনে ছাত্র প্রতি ৫ হাজার টাকা নিতেন মানিক, এমনটাই দাবি ইডি-র।গত মঙ্গলবারই আদালতে জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায় প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের!ফের জেল হেফাজতেই থাকছেন মানিক।
আদালতে ইডি জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সিডিতে ৪ হাজার প্রার্থীর তালিকা মিলেছে। সিডিবন্দি তালিকার ২৫০০ জনকে চাকরি দেওয়ার দাবি করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। DLED রেজিস্ট্রেশনে ছাত্র প্রতি ৫ হাজার টাকা নিতেন মানিক, এমনটাই দাবি ইডি-র।
Be the first to comment