রবিবার বিকেলে ছটপুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেস্টিংস নেতাজি স্পোর্টস ক্লাবের পাশাপাশি দইঘাটেও ছটপুজোর উদ্বোধনে যান মুখ্যমন্ত্রী। বারবারই তিনি বলেন, কোনওভাবেই কোনও প্ররোচনায় পা দিয়ে কেউ যেন ঝগড়া ঝামেলায় না জড়ান। একইসঙ্গে তিনি বলেন, যাদবপুরের সাংসদ থাকাকালীন একাধিক ঘাটের সমস্যার কথা তাঁর কানে আসে। এরপর ধীরে ধীরে কলকাতা-সহ বাংলার বিভিন্ন ঘাটের সংস্কার করার ব্যবস্থা করেন।
হেস্টিংসের পুজোয় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সকলে ধীরে ধীরে গঙ্গার ঘাটে যান। সমস্ত বন্দোবস্ত করা আছে। আলো লাগানো হয়েছে। আপনাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। কারও কোনও সমস্যা হলে ক্লাবকে জানান। অনেকেই থাকবেন। পুলিশের ক্যাম্প থাকবে অনেক জায়গায়। আপনাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য অনেক জায়গায় আমরা কৃত্রিম জলাশয়ও করেছি। আমার একটাই অনুরোধ ধীরে ধীরে যান। সঙ্গে বাচ্চারা থাকবে। তাড়াহুড়ো করবেন না। কেউ এসে যদি কিছু বলে ঝগড়া করবেন না। অনেকে কিন্তু পরিকল্পনা করে এসব করে। ঝামেলা লাগাতে চায়। ঝামেলা লাগলে এ একদিকে দৌড়বে, আরেকজন অন্যদিকে দৌড়বে। এতে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।”
অন্যদিকে দইঘাটের ছটপুজোয় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “আমি যখন যাদবপুরের সাংসদ ছিলাম তখন খিদিরপুর আমার কেন্দ্রের মধ্যে ছিল। আমি তখন শুনেছি ঘাটের অবস্থা এতটাই খারাপ যে ছট পুজোয় পুণ্যার্থীরা ঠিকমতো পুজোও করতে পারেন না। আমি এরপরই এই ঘাট ঠিক করি। কলকাতায়, বাংলায় এমন বহু ঘাট আছে যা আমরা ঠিকঠাক করেছি। উন্নয়ন হয়েছে। হাওড়া, ব্যারাকপুর, শিলিগুড়ি সারা রাজ্যে আমরা ছটপুজোর পুণ্যার্থীদের জন্য বন্দোবস্ত করেছি। যাতে আপনারা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুজোয় অংশ নিতে পারেন।”
ছটপুজোর অন্যতম প্রসাদ ঠেকুয়া। সুস্বাদু এই মিষ্টির ভক্ত সকলেই। এদিন ঠেকুয়ার প্রশংসা শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে সবাই ঠেকুয়াও পাঠায়। ভালই লাগে। খুব সুস্বাদু। আপনারা বানান, আপনারা খান। আমিও খাব।”
Be the first to comment