রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর লাগাতার কুকথার জবাব দিতে গিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অপমান করে বসলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। এই ঘটনায় ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) অখিল গিরির বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিরোধীদের লাগাতার উস্কানি মূলক মন্তব্যের জেরে ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছেন উনি। তবে এই মন্তব্য তৃণমূল সমর্থন করে না। গোটা ঘটনায় জেরে ক্ষমা চেয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি।
নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণ মঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার প্রতিবাদ সভা করেছিল তৃণমূল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানানে গিয়ে অখিল বলেন, “বলে দেখতে ভাল নয়। কী রূপসী? কী দেখতে ভাল? আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা?” অখিলের এই মন্তব্যে সরব হয়ে ওঠে বিজেপি। অখিল গিরি শুধু একজন রাষ্ট্রপতি নন, মহিলাকেও অপমান করেছেন বলেই দাবি বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠিও লেখেন তিনি।
এদিকে এই ঘটনায় অনুতপ্ত রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, দিনকয়েক ধরে শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে অপমান করছেন। কখনও ‘হাফ প্যান্ট পরা মন্ত্রী’, আবার কখনও ‘কাকের মতো দেখতে’ বলে কটাক্ষ করছেন। সে কারণেই শুভেন্দুকে পালটা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে রাষ্ট্রপতিকে অপমান করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না বলেই দাবি রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রীর। তবে গোটা বিজেপি যেভাবে এই ইস্যুকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করার চেষ্টা করছে তার বিরোধিতা করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, লাগাতার অখিল গিরিকে কুকথা বলে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর সেই প্ররোচনাতে পা দিয়ে ফেলেছেন উনি। অখিল গিরি যে মন্তব্য করেছেন তাকে তৃণমূল কোনভাবেই সমর্থন করে না। গোটা ঘটনায় উনি ক্ষমাও চেয়েছেন। পাশাপাশি সৌমিত্রর মহিলা কমিশনকে চিঠি প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, যখন রাজ্যের একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে লাগাতার কুকথা বলছিলেন বিজেপি নেতারা, তখন মহিলা কমিশন কোথায় ছিল?
Be the first to comment