অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হলে দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হবে না কেন? মঙ্গলবারই এই প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার অভিষেকের সুরেই একই প্রশ্ন তুললেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম না করলেও, মমতার দাবি, অভিযুক্তের বাড়ি থেকে বিজেপি নেতার দলিল উদ্ধার হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না?
বুধবরাই জঙ্গলমহলে তিনদিনের সফর শেষ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতার। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, বিজেপি নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচ করে। সেই টাকা কোথা থেকে আসে, তা কেউ তদন্ত করে দেখে না। মমতা বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেন। কোথা থেকে আসে সেই টাকা? কেউ টাকার উৎস জানিয়েছে কখনও? টাকার উৎস কী, তা কখনও তদন্ত করে দেখেছে ইডি বা সিবিআই?’
এই প্রসঙ্গে নাম না করে বিজেপি সাংসদের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘অর্পিতা নামে যে মহিলা আছেন, তাঁকে আমি চিনি না। ওঁর দলিল উদ্ধার হয়েছিল বলে ওঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী গ্রেফতার হতেই পারেন।’ বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের নেতার দলিল যখন উদ্ধার হয়, তখন সেই নেতাকে গ্রেফতার করা হয় না কেন?’
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার করেছিল ইডি। এরপরই অর্পিতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অর্পিতার সঙ্গে পার্থর যোগ থাকার একাধিক প্রমাণও আসে ইডির হাতে। আর সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল। এরপরই সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করেছে শাসক দল। দিলীপ ঘোষের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির।
বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেছেন, ‘আগে তদন্ত শেষ হোক। তারপর তো গ্রেফতারির প্রশ্ন। আমি তো প্রকাশ্যে বলছি, প্রসন্নর বাড়িতে আমি নিজে দলিলের কপি রেখেছি।’ তিনি সাফ জানান, যেখানে তিনি ফ্ল্যাট কিনেছেন, সেই হাউজিং সোসাইটির প্রধান প্রসন্ন রায়। তাই ইলেকট্রিক মিটারের নাম বদল করার জন্য দলিলের কপি প্রসন্নকে দিয়েছিলেন তিনি। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলীপ বলেছেন, ‘দম থাকলে সিআইডি দিয়ে তদন্ত করাক।’
Be the first to comment