গঙ্গা ভাঙন নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে একুশে ফেব্রুয়ারির চিঠিতেও একইভাবে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কেন্দ্রের পদক্ষেপের অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ফের সেই কথা উল্লেখ করে গঙ্গা-পদ্মা নদীর একাধিক জায়গায় ভাঙন সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গ নদীমাতৃক রাজ্য। যে রাজ্যে গঙ্গার একটা বিশাল ব্যাপ্তি রয়েছে। কিন্তু বিগত বেশ কিছু বছর ধরে গঙ্গা ভাঙন ক্রমাগত দুর্বিষহ করে তুলছে নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার একাধিক জায়গায় ভাঙন হচ্ছে। তাই ফারাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্টের আরও প্রসার বা ব্যাপ্তি বাড়ানো উচিত বলে এদিন চিঠি লিখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিটি গঙ্গা এবং ফুলহার নদীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, পাশাপাশি বিলাই মারি এবং মানিকচক ব্লকের দূরত্ব, মালদহ জেলার নদী ভাঙনের জেরে ক্রমশই কমে আসছে বলে চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি। যে দূরত্ব ছিল ৪ কিলোমিটার সেই দূরত্ব এখন ভাঙন হতে হতে মাত্র ১.৫ কিলোমিটারে এসে পৌঁছেছে। এই হারে ভাঙ্গন চলতে থাকলে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গকে যুক্ত করেছে যে জাতীয় সড়ক , সেখানেও প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের যৌথভাবে পর্যালোচনা করার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী।কেন্দ্রীয় সরকারের ফ্ল্যাট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানের খাতে রাজ্যকে কেন্দ্র একাদশ ও দ্বাদশ প্ল্যানে নদী ভাঙনের জন্য কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। চিঠিতে সেই বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
যদিও ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রাজ্যের তরফে বারবার এই টাকা দেওয়ার দাবি রাখা হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। যেহেতু ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ নদী ভাঙন রুখতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই গঙ্গা-পদ্মা ভাঙন আটকানো নিয়ে নতুন একটি পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই ৩১ টি জায়গা কে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই বিহার সরকারকে সঙ্গে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কথা বলে গঙ্গা পদ্মা ভাঙ্গন রুখতে জলশক্তি মন্ত্রক যাতে প্রযুক্তিগত সমীক্ষা করে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়, সেই কথাও চিঠিতে লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment