তপন মল্লিক চৌধুরী
টলিউড, বলিউড, হলিউড রূপোলি পর্দার তারকাদের নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই । হলিউডে এমন অনেক তারকা রয়েছেন যারা তাদের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন পর্নস্টার হিসেবে । হ্যাঁ এটা ঘটনা, যদিও আজ তারা আক্ষরিক অর্থেই দূর আকাশের তারা । তেমন কিছু তারকার কথা রাখা হল রোজদিন-এর পাতায় ।
শুরুতেই বলি সিলভেস্টার স্ট্যালোনের কথা । স্ট্যালোন অস্কারজয়ী, এছিড়াও তিনি ‘রকি’ সিরিজে অভিনয় ও পরিচালনা করে জনপ্রিয়তার চূড়ায় পৌঁছেছিলেন । শক্ত হাতে শত্রুর মোকাবিলা থেকে শুরু করে তাঁর শরীরি ভাষায় তিনি মন জয় করেছেন অগুনিত হলিঊড সিনেমাপ্রেমীর মন । কিন্তু সেই তিনি ক্যারিয়ারের শুরুতে অভিনয় করেছিলেন যৌনতাপূর্ণ চলচ্চিত্র ‘দ্য পার্টি অ্যাট কিটি অ্যান্ড স্টাডস’নামের ছবিতে । ‘রকি’ সিরিজের মাধ্যমে জনপ্রিয় হওয়ার পর প্রযোজকেরা এই ছবির নতুন নাম দেন ‘ইটালিয়ান স্ট্যালোন’।
এর পর বলতে হয় জ্যাকি চ্যানের কথা । মার্শাল আর্ট এক্সপার্ট, চ্যাপস্টিক জিনিয়াস এরকম আরও কত নামেই না ডাকা হয় তাকে । পাশাপাশি আড়ালে আবডালে তাঁকে পর্নস্টার বলেও ডাকেন অনেকে । কারণ ‘দ্য কারাটে কিড’ হিসেবে দর্শকনন্দিত হওয়ার আগে ৭০ এর দশকে তিনি রগরগে অ্যাডাল্ট কমেডি ‘অল ইন দ্য ফ্যামিলি’তে অভিনয় করেছিলেন । কিন্তু ‘দ্য কারাটে কিড’ ছবির পর আর তাকে পিছনে তাকাতে হয় নি । এরপর তিনি তাঁর মার্শাল আর্টের জাদু আর চ্যাপ্সটিক প্রতিভায় জয় করে নিতে থাকেন দর্শক হ্রদয় ।
প্রসঙ্গত বলতেই হবে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের কথা । আলোচ্য বিষয়ে তিনি আছেন প্রথম সারির অন্যতম হিসাবে । আপনি যদি একজন বিশ্ববিখ্যাত বডিবিল্ডার হন, আপনার শরীরের প্রতি দর্শকের একটা দুর্দমনীয় আকর্ষণ তো থাকবেই । আর তাই শোয়ার্জনেগার শুধু সাতবারের মিস্টার অলিম্পিয়া বিজয়ীই নন, বেশ কয়েকবার নগ্ন হয়ে নিজের শরীর দেখিয়েছেন ‘ব্লুবয়’ ম্যাগাজিনেও । কিন্তু তাতে কি বলিঊডে ১৯৭০ সালে ‘হারকিঊলিস ইন নিঊ ইয়র্ক’ ছবিতে নামভূমিকায় অভিনয় দিয়ে শুরু করে চলতি বছরেও তিনি রয়েছেন জেমস হুকের ভূমিকায় ‘ভিই টুঃ জার্নি টু চায়না’ ছবিতে ।
এরপর একে একে বলতে হয় ম্যাট লেব্ল্যাংক, ক্যামেরন ডায়াজ, প্যারিস হিল্টন, কিম কার্দাশিয়ান, ডেভিড ডুচোভনি, অ্যাডাম ওয়েস্ট প্রমুখদের কথা । ম্যাট লেব্ল্যাংকঃ সর্বকালের অন্যতম সেরা টিভি সিটকম ‘ফ্রেন্ডস’-এর কথা কে না জানে । সেই সিরিজের মজার চরিত্র জোয়ির কথা মনে আছে প্রায় সবারই । সেই জোয়ি চরিত্রে অভিনয় করা ম্যাট লেব্ল্যাংকের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল সফটকোর পর্নের মাধ্যমে । ‘রেড শু ডায়রিজ’ নামের একটি শো টাইম সিরিজে অভিনয় করেছিলেন তিনি ।
ক্যামেরন ডায়াজঃ ১৯ বছর বয়সে ডায়াজ একটি সফটকোর পর্ন ছবিতে অভিনয় করেছিলেন । কিন্তু পরবর্তীতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা অভিনেত্রীদের একজন ডায়াজ এটি নিয়ে খুবই বিব্রত ছিলেন, এবং ১৯৯৪ সালে ‘দ্য মাস্ক’ ছবির মাধ্যমে খ্যাতি পাওয়ার পর তিনি সেই পর্ন ছবিটির স্বত্ব কিনে নেন যাতে সেটি কেউ আর কখনও দেখতে না পারে ।
প্যারিস হিল্টনঃ ২০০৪ সালে তার সেক্সটেপ ‘ওয়ান নাইট ইন প্যারিস’ মুক্তি পায় এবং গোটা বিশ্বজুড়ে তা নিয়ে তুমুল সাড়া পড়ে যায় । এমনকি পারিবারিক বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পও তার স্ত্রী মেলানিয়ার সাথে বসে এটি দেখেন এবং তিনি এতটাই মুগ্ধ হন যে কয়েকদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারেও এটির উল্লেখ করেন ।
কিম কার্দাশিয়ানঃ গুজব শোনা যায় যে কার্দাশিয়ানের মা ক্রিস জেনার নিজেই মেয়ের সাবেক প্রেমিক জেন রের সাথে সেক্সটেপ ফাঁস করে দেন, এবং তার উদ্দেশ্য ছিল মেয়েকে লাইমলাইটে নিয়ে আসা । তা তিনি সত্যিই করতে পেরেছিলেন । সেই সেক্সটেপের কল্যাণে সবার মুখে মুখে ঘুরতে শুরু করে কার্দাশিয়ানের নাম ।
ডেভিড ডুচোভনিঃ এক্স ফাইলস ও ক্যালিফর্নিকেশন তারকা ডুচোভনি ম্যাট লেব্ল্যাংকের সাথে একই সিরিজে সফটকোর পর্ন করেছিলেন । এরপর তিনি একটি পূর্নদৈর্ঘ্য পর্ন ছবিতেও অভিনয় করেন, এবং শো টাইমে যৌনতা বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানেরও সঞ্চালনা করেন ।
অ্যাডাম ওয়েস্টঃ যাকে বলা হয়ে থাকে প্রকৃত ব্যাটম্যান, তিনি পর্ন ছবিতেও মুখ দেখিয়েছেন । হ্যাঁ, ওয়েস্ট সত্যি সত্যিই বেশ কিছু পর্ন ছবিতে অভিনয় করেছেন । কিন্তু তাকে কখনোই সরাসরি যৌনকর্মে লিপ্ত হতে দেখা যায়নি অবশ্য ।
সব শেষ যার কথা বলব তাঁর নাম দেখে অনেকেই চটে যাবেন । মেরিলিন মনরো, হ্যাঁ এই তালিকায় মনরোর নাম দেখে অনেকেই রেগে যেতে পারেন । কিন্তু আলোচ্য প্রসঙ্গতে তাঁর নাম তো আসবেই । এ কথায় অবশ্যই কোন ভুল নেই যে মনরো কখনো কোন পর্ন ছবিতে অভিনয় করেননি । কিন্তু একইসাথে এ কথাও সত্য যে গত শতকের ‘সেক্স সিম্বল’ মনরো তার ক্যারিয়ার জুড়ে নগ্ন বা অর্ধনগ্ন হয়ে পোজ দিয়েছেন, এমন ফটোশ্যুটের সংখ্যাও নেহাত কম নয়!
Be the first to comment