‘এখনও মারা যাননি অভিনেতা বিক্রম গোখলে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক।‘ জানালেন অভিনেতার মেয়ে। বুধবার দুপুরের পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। রাতে রটে যায় অভিনেতার মৃত্যুর খবর।এরপরই তাঁর মৃত্যুতে বিনোদন জগতের অনেকেই শোকপ্রকাশ করেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর খবর ‘ভুয়ো’ বলে জানান তাঁর স্ত্রী বারুষী গোখলে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে কোমায় চলে গিয়েছে তাঁর স্বামী। আপাতত তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। বারুষী এটাও জানিয়েছেন যে মাল্টি অরগ্যান ফেলইওর হয়েছে বিক্রমের।
বারুষী জানান, গত ৫ নভেম্বর থেকে পুনের দীননাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বিক্রম। তবে বুধবার সকাল থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। অভিনেত্রার স্ত্রী জানান, ‘গতকাল দুপুরেই ও কোমায় চলে গিয়েছে। তারপর থেকে ছুঁলে আর কোনও প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন না। ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। ডাক্তাররা আগামীকাল সকালে ঠিক করবে কী করবে এটা দেখে যে ও চিকিৎসায় কী প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। একটু উন্নতি হয়েছিল কিন্তু আবার যেই কে সেই। অভিনেতার হার্ট আর কিডনিজনিত একাধিক সমস্যা ছিল। তবে এই মুহুর্তে বিক্রমের মাল্টি-অরগ্যান ফেলইওর হয়ে গিয়েছে।’
অভিনেতার মেয়ে জানিয়েছেন, ‘বাবার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। এখনও মারা যাননি।দয়া করে সকলে বাবার জন্য প্রার্থনা করুন’।
১৯৭৬ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন বিক্রম। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘পরওয়ানা’ ছিল বিক্রমের প্রথম ছবি। বিক্রমকে দর্শক সম্প্রতি ‘নিকম্মা’ ছবিতে দেখেছেন। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে ছিলেন শিল্পা শেট্টি এবং অভিমন্যু দাশানি। ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের বাবার চরিত্রে অভিনয় করে প্রচারের আলোয় চলে আসেন বিক্রম। ‘দিল সে’, ‘ভুলভুলাইয়া’, ‘হিচকি’, ‘মিশন মঙ্গল’-সহ আরও ছবিতে তাঁর অভিনয় আজও দর্শকের মনে রয়েছে। মরাঠি ছবি ‘অনুমতি’-তে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার।
Be the first to comment