জি২০ শীর্ষ মম্মেলনে নেতৃত্ব দিতে চলেছে ভারত। আর এই সুযোগ দেশের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। আজ, রবিবার ৯৫ তম মন কী বাত অনুষ্ঠানে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমাদের সংকল্প ‘এক বিশ্ব, এক সংকল্পে’র। যেকথা বলা আছে বসুধৈব কুটুম্বকম শ্লোকে।”পাশাপাশি এও বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ তাঁকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ভারত এই সুযোগ পাওয়ায় তাঁরা কতটা খুশি। এটা আমাদের জন্য খুব বড় সুযোগ। বিশ্বের কল্যাণের দিকে আমাদের ফোকাস থাকবে।
মন কি বাত অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, জি ২০ দেশগুলির সভাপতিত্ব আমাদের কাছে একটা বড় সুযোগ। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জোর দিতে হবে আমাদের। জোর দিতে হবে উন্নয়ন ও ঐক্যেও। এই সব ক্ষেত্রে ভারতের সামনে যে সব বাধা রয়েছে, তা পেরতে হবে।
এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতীয় সঙ্গীতের জয়গান গাইতে দেখা গিয়েছে মোদিকে। তিনি মনে করিয়ে দেন, ভারতীয় সঙ্গীত কেবল যে এদেশের সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করেছে তাই নয়, বরং সারা পৃথিবীতেই তা গভীর দাগ রেখে গিয়েছে।
মন কি বাত-এর ৯৫ তম পর্বে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘সারা দেশের জনগণ আমাকে জানিয়েছে যে তারা কতটা গর্বিত যে ভারত জি২০-এর সভাপতিত্ব পেয়েছে। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপুর্তিতে এটাই ভারতের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে তেলেঙ্গানার হরিপ্রসাদ গারু আমাকে হাতে বোনা একটি জি২০ লোগো পাঠিয়েছেন। আমি এই চমৎকার উপহার দেখে অবাক! আমি ভেবেছিলাম তেলেঙ্গানায় বসে থাকা একজন ব্যক্তি জি২০ সম্মেলন নিয়ে কতটা উৎসাহিত’।
বললেন, ‘সারা দেশের মানুষ আমাকে লিখেছে যে তারা কতটা গর্বিত যে ভারত জি২০-এর সভাপতিত্ব পেয়েছে। অমৃত কালের অধীনে ভারত এই দায়িত্ব পেয়েছে।
জি২০ এর সভাপতিত্ব আমাদের জন্য একটি সুযোগ। আমাদের বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে। শান্তি হোক, ঐক্য হোক বা টেকসই উন্নয়ন হোক, ভারতের কাছে এই বিষয়গুলির সাথে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলির সমাধান রয়েছে। জি২০এর জন্য ভারতের থিম হবে এক পৃথিবী, এক পরিবার , এক ভবিষ্যৎ’।
এদিন ভারতের মহাকাশ অভিযান ও ইসরোর সাফল্যের কথাও শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে। শনিবারই ভারত ও ভুটানের যৌথ উদ্যোগে একটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। যা দুই দেশের সম্পর্কের শক্তিকেই প্রকাশ করছে বলে জানান মোদি। পাশাপাশি গত ১৮ নভেম্বর ‘বিক্রম এস’ রকেটের উৎক্ষেপণের কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”বিক্রম-এস সমস্ত ভারতীয়কেই গর্বিত করেছে।” এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে পুরনো প্রসঙ্গও উঠে আসে তাঁর মুখে। তিনি বলেন, ”একটা সময় ভারত ক্রায়োজেনিক রকেট প্রযুক্তিকে অস্বীকার করেছিল। কিন্তু ভারতীয় বিজ্ঞানীরা যে কেবল ভারতীয় প্রযুক্তির উন্নতিই ঘটাননি। আজ এর সাহায্যে মহাকাশে অসংখ্য উপগ্রহও পাঠাতে পারছি।”
Be the first to comment