হিঙ্গলগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে ফের পৃথক সুন্দরবন জেলার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বনবিবি মন্দির ঘিরে পর্যটন ও হোমস্টের কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বনবিবি মন্দির পাকা করার নির্দেশ দেন তিনি।
মঙ্গলবার, সকালে ডুমুরজলা থেকে হেলিকপ্টারে বসিরহাট পুলিশ জেলার শামসেরনগর হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে যান মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রীড়া ময়দানের সভায় যোগ দেন। এরপরই বনবিবি মন্দিরে গিয়ে শাড়ি, ধুতি, ফুল, ফল, মিষ্টি দিয়ে পুজো দেন মমতা। করেন বৃক্ষপুজোও। ছিলেন বসিরহাটের সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী-সহ প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
এরপর সরকারি পরিষেবা প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামগুলির বাসিন্দারা হোমস্টে চালু করলে রাজ্য সরকার সাহায্য করবে। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই পাহাড় থেকে সমতল বিভিন্ন জায়গায় হোম স্টে চালুর বিষয়ে রাজ্য সরকার সাহায্য করেছে। এবার, সুন্দরবনও সেই পরিষেবা চালু করতে চান মমতা। তিনি বলেন, “এই সব এলাকায় হোম স্টে করুন। নিজেদের বাড়ির একট ঘর ছেড়ে দেবেন। সেখানে বায়োটলেট থাকবে, খাট থাকবে, টিভি থাকবে। হোমস্টে করুন। সরকার টাকা দেবে।“
সুন্দরবনের উন্নয়নের জন্য তিনি কেন্দ্রের কাছে একটি মাস্টার প্ল্যান পাঠাচ্ছেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। কী ভাবে নদী ভাঙন রোখা যায়, কী করে এই অঞ্চলের উন্নয়ন করা যায়- তার সবই থাকছে মাস্টারপ্ল্যানে।
একই সঙ্গে সুন্দরবন সংলগ্ন সব জায়গার মানুষকে ভোটার লিস্টে নাম তোলার বিষয়ে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “ভোটার লিস্টে নাম না থাকলে আইডেন্টিটি থাকবে না। ১৭-১৮ বছর বয়স যাঁদের, তাঁরাও নাম তুলবেন। নাম তুলতে গিয়ে যদি কেু বলে, আধার কার্ড নিয়ে এসো, জেনে রাখুন, ভোটার লিস্টে নাম তুলতে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়।“ বনবিবির মন্দিরটা পাকা হয়ে গেলে তিনি আবার হিঙ্গলগঞ্জ যাবেন বলে আশ্বাস দেন।
Be the first to comment