আলিপুর জেল মিউজিয়াম ঘুরে দেখলেন তৃণমূল বিধায়করা

Spread the love

ঐতিহাসিক আলিপুর জেল এখন গোটাটাই মিউজিয়াম। স্বাধীনতা আন্দোলনের সাক্ষী বহন করা এই জেল মিউজিয়াম ঘুরে দেখলেন তৃণমূল বিধায়করা। সঙ্গে ছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তবে বিজেপির কোনও বিধায়ক এদিন অংশ নেননি। আজ, বুধবার চলতি বছরের শীতকালীন অধিবেশনের শেষদিনে বিধানসভা থেকে বাসে করে বিধায়কদের আলিপুর জেল মিউজিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়।

গোটা বিষয়টি তদারকি করেন মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, তাই এই ব্যবস্থা বলেও জানালেন মন্ত্রী। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও সমস্ত দলের বিধায়কদের জেল মিউজিয়াম দেখতে যাওয়ার আহবান জানিয়েছিলেন। স্পিকার নিজেও সকলের সঙ্গে ঐতিহাসিক এই জেল ঘুরে দেখেন।

ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে আলিপুর কারাগারের সুনাম ছিল বিস্তর। ব্রিটিশ শাসনকালে এই কারাগারেই বিভিন্ন সময়ে বন্দি করে রাখা হয়েছিল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, নজরুল ইসলাম, বিধানচন্দ্র রায়, জওহরলাল নেহেরু, যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বন্দিদের।

হাইকোর্টের নির্দেশ ও রাজ্য সরকারের প্রস্তাবমত আলিপুর জেলের ১০৮ একর জমিতে মিউজিয়াম তৈরি হয়। পুজোর আগেই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।ঐতিহ্যবাহী ভবনটিতে আগে আলিপুর জেল প্রেস ছিল। সেটি তুলে নিয়ে সরস্বতী প্রেসে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুসারে, হেরিটেজ সাইটকে অক্ষত রেখেই নতুন নির্মাণের কাজ করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে মিউজিয়াম।

এই সংগ্রহশালাটি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত এই জেলেই ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন বিপ্লবী দীনেশ মজুমদার, দীনেশ গুপ্তেরা। তবে যে সব ঘরে বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামীরা বন্দি ছিলেন, সেইসব ঘরগুলিকে আগেই হেরিটেজ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

আলিপুর জেল মিউজিয়ামের মূল আকর্ষণ হল সেই সেল যেখানে এই মুক্তিযোদ্ধাদের রাখা হয়েছিল। অনেকটা আন্দামান ও নিকোর দ্বীপপুঞ্জের সেলুলার জেলের মতন অনুভূতি পাবেন এখানে। এদিকে, আলিপুর সেন্ট্রাল কারেকশনাল হোমটিও ১১৬ বছরের পুরনো। ২০১৮ সালের জুন মাসে সাময়িকভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের এক জি+১ কারাগাররে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*