আজই শুভেন্দুর পাড়ায় অভিষেক, সকাল হতেই সভাস্থলে ভিড়

Spread the love

আর কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। ঠিক দুপুর ২টোয় কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ মাঠে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। কাঁথির বুকে যা নয়া ইতিহাস তৈরি হবে বলেই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি থেকে সভাস্থলের দূরত্ব মাত্র ২০০মিটার। শনিবারের বারবেলায় ফলে অভিষেক তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে যে ঝাঁঝালো বক্তব্য রাখবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কাঁথি এবং তমলুক সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে এই এই মহা রাজনৈতিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে অভিষেক একদিকে যেমন রাজনৈতিক বার্তা দেবেন, ঠিক একইভাবে পূর্ব মেদিনীপুরে সার্বিকভাবে সংগঠনকে আরও মজবুত করার ডাক দেবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

কাঁথি শহরের বুকে এই সভা হলেও গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে তার প্রভাব যে পড়তে চলেছে, কোলাঘাট ঢুকলেই সেই ছবিটা স্পষ্ট। রাস্তার দু’পাশে ভরে গিয়েছে অভিষেকের বিশাল বিশাল কাট-আউট, তৃণমূলের ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন, তোরণে। তুমুল উন্মাদনা লক্ষ্য করা গেল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক, স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে। এই সভাকে কেন্দ্র করে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলেই দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। শনিবার সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় বাড়াতে শুরু করেছেন তৃণমূল-কর্মী সমর্থকরা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাঁথি অভিমুখে আসছে একের পর এক কর্মী বোঝাই গাড়ি। সকাল ১০টার মধ্যেই সভাস্থল ভরে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে বিশাল সভা মঞ্চ।নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। সভা শুরু হবে শনিবার বেলা ১টা থেকে। তবে শুক্রবার রাত থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কর্মী-সমর্থকরা কাঁথি শহরে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। কাঁথি ও তমলুক সাংগঠনিক জেলার দুই সভাপতি তরুণ মাইতি এবং সৌমেন মহাপাত্র বলছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য সব মাঠই ছোট। গতবার যার জন্য ধানক্ষেত বেছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার মাঠে ধান থাকায় শহরের সবচেয়ে বড় মাঠ প্রভাত কুমার কলেজ ময়দানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। যাঁরা সভাস্থল আসার সুযোগ পাবেন না, তাঁদের জন্য এই ব্যবস্থা।

এদিকে অভিষেকের সভায় বিপুল জমায়েতকে কেন্দ্র করে গোটা কাঁথি শহর সহ অবরুদ্ধ হতে চলেছে তা আঁচ করতে পেরে যানজট এড়াতে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হয়েছে জেলা পুলিশও। জনসভায় আসা গাড়ির জন্য বিরাট জায়গায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে অভিষেকের কনভয় ছাড়া আর কোনও গাড়িই মঞ্চের কাছাকাছি পৌঁছবে না বলেই জানিয়েছে প্রশাসন। সব মিলিয়ে অভিষেকের সভাকে কেন্দ্র করে শুভেন্দু অধিকারীর পাড়ায় ডিসেম্বরের শুরুতেই “ধামাকা” দিতে চলেছে ঘাসফুল শিবির।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*