‘বিশ্বাসঘাতকমুক্ত’ মেদিনীপুরের ডাক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই লক্ষ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের জন্য ডিসেম্বরের কর্মসূচী বেঁধে দিলেন তিনি। শনিবার কাঁথির জনসভা দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিলেন, আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার থেকে শুরু হবে এই কর্মসূচি। প্রতিটি বুথ, ব্লক, টাউন, পঞ্চায়েত থেকে গোটা জেলায় এই শিরোনামে হবে মিটিং-মিছিল। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন, মেদিনীপুরের বেইমানকে বিতাড়িত করতে হবে, রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া করতে হবে।
এদিনের জনসভায় দাঁড়িয়ে ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক গুরুত্বের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, “এই ডিসেম্বরে মেদিনীপুরে জন্ম নিয়েছিলেন আমাদের বীর সন্তান ক্ষুদিরাম বসু। এই ডিসেম্বরেই এখানে গঠিত হয়েছিল তাম্রলিপ্ত সরকার। আর এই একই মাসে মেদিনীপুরের এক সন্তান এই মাটির সম্মান ভূলুন্ঠিত করে নিজের ঘাড় বাঁচাতে দিল্লির নেতার কাছে নিজের মেরুদণ্ড জমা দিয়ে আসেন। নিজেদের ঘাড়-পিঠ বাঁচাতে দু’ বছর আগে মেদিনীপুরের সম্মান বিক্রি করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে বিশ্বাসঘাতকরা। মেদিনীপুরের মানুষ এদের ক্ষমা করবে না।” এরপর বেইমানের উদাহরণ হিসেবে যেভাবে মিরজাফরের কথা উঠে আসে সে কথা মনে করিয়ে অভিষেক বলেন, ” ওই গদ্দারকে বিশ্বাসঘাতক, মীরজাফর বলে ৫০০ বছর ধরে মনে রাখবে সাধারন মানুষ।” এরপরই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ডিসেম্বর জুড়ে ‘বেইমানমুক্ত; ‘বিশ্বাসঘাতকমুক্ত’ মেদিনীপুর কর্মসূচি হবে প্রতিটি বুথ, ব্লক, টাউন, পঞ্চায়েত থেকে গোটা জেলায়।”
শুধু তাই নয় এদিনের জনসভা থেকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই রাজ্যের সবচেয়ে বড় তোলাবাজ, ঘুষখোরের নাম কী? টিভির পর্দায় কাকে ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছে? সুদীপ্ত সেন কার নামে চিঠি দিয়েছে? এই কলেজের গার্লস হস্টেল হচ্ছিল ২০১৫ সালে। ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার টেন্ডার হয়েছিল। তাতে ৮৫ লক্ষ টাকা বেশি দেওয়া হয়েছিল। গার্লস কলেজের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান কে ছিলেন? তাঁরাও এই সভা শুনছেন। কেউ মোবাইলে, কেউ মাইকে শুনছে। ২০০ মিটার দূরে তো বাড়ি। এদের কাছে সততার পাঠ তৃণমূল শিখবে না। পাশাপাশি তিনি বলেন, ১৫ দিন সময় দিলাম। এই কলেজ মাঠে আবার সভা হবে। তুমি তোমার খাতা নিয়ে আসবে। আমি আমার খাতা নিয়ে আসব। আমাদের মধ্যে দুর্নীতি ইস্যুতে লড়াই হবে। আমি ওদের উলঙ্গ করে দেব।
Be the first to comment