পরিষেবার নামে ‘অষ্ট্ররম্ভা’ বললেও কম হবে।দিল্লির উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম সর্বত্রই একই অবস্থা। রাস্তাঘাটে তো বটেই বসতি এলাকাগুলিতেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ।রাজধানীর এই শোচনীয় অবস্থার মধ্যেই রবিবার সকাল থেকেই শুরু হল দিল্লির পুরনির্বাচন।
আজ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ২৫০টি ওয়ার্ডে নির্বাচন।চলবে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। টানা চতুর্থ বার পুর নিগম দখলে রাখতে পারবে কি বিজেপি, না কি প্রথম বারের জন্য আম আদমি পার্টি পুর নিগমের দায়িত্ব পাবে, তার জবাব মিলবে ইভিএমে।
দিল্লি পুর নিগমের ভোটে ২৫০টি ওয়ার্ডে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১,৩৪৯ জন। ভোটদাতা ১ কোটি ৪৫ লক্ষের বেশি। কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি এবং দিল্লির শাসক আপ— সব ওয়ার্ডেই লড়াই মূলত দ্বিমুখী। তবে আছেন কংগ্রেসের প্রার্থীরাও। বেশ কিছু ওয়ার্ডে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন কিছু নির্দল প্রার্থীও।
গত ১৫ বছর ধরে বিজেপি দিল্লি পুর নিগমের দায়িত্বে রয়েছে। তবে এ বছরের চিত্রটা বেশ আলাদা। গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে ব্যস্ত গেরুয়া শিবিরের বড় বড় নেতারা। তাই দিল্লি পুর নিগমের উন্নয়ন নিয়ে তেমন মাথাব্যাথা নেই।
এদিকে পুরনিগম দখলের লড়াইয়ে মরিয়া আপ। তাই ‘স্বচ্ছ’ রাজধানী গড়ার ওপরেই জোর দিয়েছে আপের মুখ্য আহ্বায়ক তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘দেড় দশকে দিল্লি আবর্জনার পাহাড়ে পরিণত হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় এলে দিল্লিকে স্বচ্ছ বানানোই হবে প্রধান লক্ষ্য।’’
তবে সময় না দিতে পারলেও জমি ছাড়তে নারাজ গেরুয়া শিবির। আপ দলকে টক্কর দিতে দুর্নীতির অভিযোগে আপের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের তিহার জেলে বন্দি থাকা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেন, ‘‘স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবগারি, পরিবহণ, এমনকি ঠিকা শ্রমিকদের অধিকার হরণ করে দুর্নীতির একটি নতুন মডেল খাড়া করেছে কেজরীওয়াল সরকার। মানুষ পুর নিগমের ভোটে এর বদলা নেবেন।’’
এদিকে,আজ নির্বাচন উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার বেড়াজালে মুড়ে ফেলা হয়েছে দিল্লি পুর এলাকাকে। ভোটের দিন রাস্তায় থাকবেন ৪০ হাজার দিল্লি পুলিশকর্মী। পাশাপাশি ২০ হাজার হোমগার্ড এবং ১০৮টি কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন থাকছে। সব মিলিয়ে, রবিবারের রাজধানী রাজনীতির আঙিনায় পরিণত হয়েছে।
Be the first to comment