সংহতি দিবসে সম্প্রীতির বার্তা। রাজস্থানের আজমেঢ় শরিফ দর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার, দুপুরে খাজা মৈনুন্দিন চিস্তির দরগায় চাদর ও ফুল চড়ান তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানে মমতাকে দেখার জন্য স্থানীয়দের ভিড় উপচে পড়ে। আজমেঢ় থেকে পুষ্কর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ব্রহ্মার মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা তাঁর।
আজমেঢ় শরিফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। জাতীয় রাজনীতিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত জনপ্রিয়। এদিনের ভিড় দেখে সেটা আরও একবার প্রমাণিত। আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল রাজস্থান পুলিশ। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমোকে দেখতে সাধারণ মানুষের মধ্যে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে।
চারদিনের সফরে সোমবারই দিল্লি পৌঁছেছে তৃণমূল সুপ্রিমো। যোগ দেন জি-২০ প্রস্তুতি বৈঠকে। আগেই মমতা জানিয়েছিলেন তিনি আজমেঢ় ও পুষ্কর যাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার মনে আছে, যখন আমি রেলমন্ত্রী ছিলাম, তখন এই দু’টি প্রোজেক্ট পাশ করিয়েছিলাম। আমার দিকে আঙুল তোলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এটা সাম্প্রদায়িক পদক্ষেপ। কিন্তু, হিন্দু এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের জন্যই এই প্রোজেক্ট ছিল। স্বপ্নের প্রোজেক্ট ছিল আমার। মঙ্গলবার আমার কোনও কর্মসূচি নেই। আমি তো রাজনৈতিক কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য সেভাবে কোথাও যেতে পারি না। তাই এবার সুযোগ পেয়েছি, ঘুরে আসব।”
মঙ্গলবার রাতেই ফের দিল্লিতে ফিরে যাবেন তিনি। বুধবার দলের সাংসদদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক আছে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বাসভবনে।
Be the first to comment