গুজরাত নির্বাচন তখন দোরগোড়ায়। ছট পুজোর সময় আচমকা মচ্ছু নদীতে কেবল সেতু ছিঁড়ে পড়ল। মোরবি এক অত্যন্ত মর্মান্তিক বিপর্যয়ের নাম। সলিল সমাধি হয়েছিল
১৩৫ জনেরও বেশি মানুষের। তালিকায় ছিলেন অনেক মহিলা, শিশু। মোরবি বিপর্যয়ের পর প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন
গুজরাতে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার। মোরবিতে গেরুয়া শিবিরের ৫ বারের বিধায়ক কান্তিভাই আমরুতিয়া সেতু বিপর্যয়ের পর থেকেই স্পটলাইটে। কারণ, মচ্ছু নদীতে সেতু বিপর্যয়ের পর প্রশ্নের মুখে পড়েছিল মোরবি স্থানীয় প্রশাসন। মনে করা হয়েছিল, সেতু বিপর্যয়ের মতো মোরবিতে অন্তত বিজেপির বিপর্যয় ঘটবে।
কিন্ত না, আজ বৃহস্পতিবার গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন দেখা গেল, মোরবির মানুষ সেই বিজেপিতেই ভরসা রেখেছেন। ব্যালট বাক্স বলছে, পাতিদার অধ্যুষিত মোরবিতে কংগ্রেসের জয়ন্তী পাটেল ও আপের পঙ্কজ রানসারিয়াকে অনেকটাই পিছনে ফেলে এগিয়ে আছেন ৫ বারের বিধায়ক সেই কান্তিভাই আমরুতিয়াই। আসলে সেতু বিপর্যয় হলেও বিধায়ক কান্তিভাই আমরুতিয়া উদ্ধার কাজ থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলায় সামনে থেকে তদারকিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তারই ফসল পেলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ছট পুজোর দিন সন্ধ্যায় গুজরাতের মোরবিতে ব্রিটিশ আমলে তৈরি কেবল সেতু ছিঁড়ে পড়ে। ঝুলন্ত সেতুর যখন তার ছিঁড়ে যায়, তখন মহিলা ও শিশুসহ প্রায় ৫০০ লোক ছিলেন সেতুর উপরে। মচ্ছু নদীতে ছট পুজো দেখতে জমায়েত করেছিলেন সকলে। সেতু ছিঁড়ে পড়ায় তাঁরাও নদীতে পড়ে যান। সেতু ছিঁড়ে পড়ে নারী-শিশু সহ ১৩৫ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সেতুর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে টেন্ডার দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওরেভা নামে একটি সংস্কাকে কেবল সেতুর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের বরাত দিয়েছিল মোরবি প্রশাসন। এই ওরেভা সংস্থাটি মূলত ঘড়ি তৈরির জন্য পরিচিত। তারা কি-না সেতুর বরাত পেয়েছিল। যা নিয়ে অনেক জলঘোলা, বিতর্ক, সমালোচনা হলেও ভোটে তার বিন্দুমাত্র যে প্রভাব পড়েনি, তা বলছে ব্যালট বক্স।
Be the first to comment