হঠাই উল্টো সুর। আর না কি বাড়তি মন্তব্য করবেন না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে বললেন, “ভালো কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী।“ শুধু তাই নয়, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথা তিনি ‘এনজয়’ করেন বলেও জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার, মামলার শুনানির শেষে হালকা মেজাজে একের পর এক মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেই ‘ধেঁড়ে ইঁদুর’ বেরোনোর কথা বলেছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে এদিন বলেন, “সেদিন ধেঁড়ে ইঁদুর বলেছি সুব্রতদার সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে। উনি বুঝেছিলেন কেন বলেছি। এই পরিবেশে সেটায় অন্য মাত্রা যোগ হয়েছে।“
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই সব মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ নাম না করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তিনি টুইটে লেখেন, “দুর্নীতির যদি কেউ সব জানেন, ‘মাথা’ চেনেন, ‘ধেড়ে ইঁদুর’ জানেন বলে ভাব দেখিয়ে প্রচার চান, তাঁকে অবিলম্বে সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তদন্তে ডেকে পাঠানো হোক। যিনি সব জানেন, তিনি শুধু সংলাপ দিয়ে মেগাসিরিয়াল চালাবেন কেন? আসুন তদন্তে।” এদিন, কুণাল ঘোষের কথার প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ”কুণাল ঘোষের কথা আমি খুব এনজয় করি। রোজ কিছু না কিছু বলেন।”
এরপরেই সতর্ক মন্তব্য বিচারপতির। বলেন, ”তবে আমি কোনও অতিরিক্ত মন্তব্য করব না। কারণ কথার মানে অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। আমি তো বলেছি, ঢাকি বিসর্জন দিয়ে দেব। ওরা আমাকে বলতে বাধ্য করে।” বলে পর্ষদের আইনজীবীদের দেখান তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রশংসা করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য, ”চন্দ্রিমাদিকে বলে দেবেন, আর কোনও মন্তব্য করব না। আমি কেন খারাপ কথা বলব? মুখ্যমন্ত্রী ভালো কাজ করছেন।”
এই কথার প্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ জানান, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। কিছু মন্তব্য তাঁর কানে আসে। তারই প্রতিবাদ করেছেন তিনি। কুণালের মতে, ”যিনি মাথা জানেন, ঢাকি জানেন, তাঁকে সাক্ষী করা হোক। সিবিআইয়ের উচিত তাঁকে ১৬৪ করা। আর মুখ্যমন্ত্রী ও সরকার ভালো কাজ করছেন, এটা সবাই জানে।”
Be the first to comment