তিনদিনের ব্যবধানে ২ বার গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে। দ্বিতীয়বার গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেয়ে গেলেন সাকেত। একইসঙ্গে আদালতে মুখ পুড়ল গুজরাট পুলিশের। শুক্রবার ওই তৃণমূল নেতাকে আদালতে পেশ করা হলে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে মোরবি জেলা আদালত। পাশাপাশি এই ইস্যুতে এদিন রাজ্যসভাতেও সরব হতে দেখা যায় তৃণমূলকে।
মোরবি দুর্ঘটনা নিয়ে টুইট করার জেরে গত সোমবার রাজস্থানের জয়পুরে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সাকেত গোখলেকে। এরপর সেই মামলায় জামিন মেলার পর বৃহস্পতিবার রাতে ফের গ্রেফতার করা হয় সাকেতকে। তাঁর গ্রেফতারি এমন একটা সময় হয় যখন গুজরাটে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি কার্যকর রয়েছে। অর্থাৎ পুলিশ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের ভার রয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে। স্বাভাবিকভাবেই এমন সময় সাকেতের গ্রেপ্তারিতে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস। খোদ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সরব হন। পাশাপাশি তাঁর পাশে দাঁড়াতে গুজরাট যান তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এদিন সাকেতকে আদালতে পেশ করা হলে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়। আদালত থেকে বেরিয়ে সাকেত কথা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে। পাশাপাশি এদিন রাজ্যসভাতে সাকেতের গ্রেফতারি ইস্যুতে সরব হতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ জহর সরকারকে।
উল্লেখ্য, অক্টোবরে গুজরাটের মোরবির সেতু বিপর্যয় নিয়ে টুইটারে গুজরাট প্রশাসনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছিলেন সাকেত। সেই সঙ্গে একটি RTI-এর তথ্য তুলে দাবি করেন, মোরবির সেতুভাঙার পর মোদির গুজরাট সফরে খরচ হয়েছে ৩১ কোটি টাকা। কিন্তু এই তথ্যকে ভুয়ো বলে দাবি করে গুজরাট পুলিশ। প্রধানমন্ত্রীর সফরের খরচ নিয়ে কোনও RTI-এর জবাব সরকারের তরফে দেওয়াই হয়নি। এই মামলায় জামিন পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ফের অতি তৎপরতার সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোনও নোটিস বা ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাঁকে মোরবি সেতুভঙ্গ নিয়ে টুইট করার দায়ে দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তার করে গুজরাট পুলিশ। তবে গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের জামিন পেলেন সাকেত।
Be the first to comment