মামলা থেকে রেহাই পেতে এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দিল্লি সফরে এসে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই বৈঠকে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের মামলা থেকে রেহাই পেতে শাহের কাছে আবেদন জানান শুভেন্দু। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তালিকা।
সম্প্রতি প্রশাসনিক কাজে রাজ্যে এসেছিলেন অমিত শাহ। শাহের ফেরার সময়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে বৈঠকের জন্য সময় চান শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন রেখে মঙ্গলবার তাঁকে সময় দেন শাহ। সেইমতো মঙ্গলবার দুপুরে সংসদ ভবনে পৌঁছে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দু। সঙ্গে নিয়ে যান তাঁর ছাপানো লিফলেট। ১৯৫৬ নামে সেই লিফলেটে রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে পুলিশের দায়ের করা ২৬টি মামলার তালিকা। প্রায় ৩০ মিনিটের এই বৈঠকে মামলা থেকে রেহাই পেতে শাহের সাহায্য প্রার্থনা করেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান বিরোধী দলনেতা। শাহের সঙ্গে বৈঠক সেরে সংসদের সেন্ট্রাল হলে অপেক্ষা করছিলেন শুভেন্দু। তখন সেখান থেকে যাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুভেন্দুকে দেখে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কেমন আছেন?’ জবাব দিয়ে পালটা প্রধানমন্ত্রীর কুশল জিজ্ঞাসা করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি তিনি সাক্ষাত করেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও।
তবে শাহ সাক্ষাতে শুভেন্দুর মামলা নিয়ে অভিযোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, মাঠে-ময়দানে রাজনৈতিক লড়াই থেকে পালিয়ে গিয়ে এখন দিল্লি গিয়ে অনুগ্রহ ভিক্ষা করছেন শুভেন্দু। মানুষের পাশে থেকে রাজনীতি বিজেপির অস্থি-মজ্জায় নেই। সিবিআই-ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিয়েই রাজনীতি করতে অভ্যস্ত ওরা। শুভেন্দুর শাহ সাক্ষাৎকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী সেই তালিকায় সিবিআই-এর ওই এফআই রেখেছেন তো! যাতে শাহের সিবিআই নারদের তোলাবাজিতে শুভেন্দুর নামে এফআইআর করে রেখেছিল, যেটা থেকে বাঁচতে শাহের জুতো পালিশ করতে গিয়েছেন! যে তালিকা দিয়েছেন, সিবিআই-এর এফআইআর রয়েছে তো! ওটা তো সবার আগে দিয়ে বলা উচিত, আমি বিজেপি-তে এসে গিয়েছি। বাঁচান। বাংলার কেন শুধু, দিল্লির সিবিআই-এর এফআইআর-এর তালিকা দিলেন না কেন! আসলে ওটা থেকেই বাঁচতে যাচ্ছেন উনি।”
Be the first to comment