মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে হয়ে গেল পর্যালোচনা বৈঠক। আজ,
বুধবার এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত জেলাশাসকরা। পাশাপাশি এদিন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালরা ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। এই পর্যালোচনা বৈঠক থেকে জেলাগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। তবে বিধি নিষেধ নিয়ে কঠোর অবস্থান না নিলেও, নবান্নের নির্দেশ বিভিন্ন জেলায় করোনা আক্রান্তদের উপর বিশেষভাবে নজরদারি বাড়াতে হবে। বৈঠকে কী কী করতে হবে, আচমকা সংক্রমণের হার বেড়ে গেলে কী করতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। সব জেলায় করোনা মোকাবিলায় কড়া নজরদারি চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। দিয়েছেন একাধিক নির্দেশও।
নবান্ন সূত্রে খবর, প্রথম ধাপে রাজ্য জুড়ে হাসপাতালগুলিতে করোনার জন্য ৩,৭১৮টি শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাজ্য জুড়ে এখনও পর্যন্ত ২৬ শতাংশ মানুষ বুস্টার ডোজ় নিয়েছেন। মুখ্যসচিব বৈঠকে নির্দেশ দেন, প্রয়োজন হলে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। সব ধরনের কিট যাতে প্রস্তুত থাকে হাসপাতালগুলিতে, সে দিকে নজর দিতে হবে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন কনসেনট্রেটারেরও ব্যবস্থা রাখতে হবে হাসপাতালগুলিতে। যাতে করোনা সংক্রমিতদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় কষ্ট পেতে না হয়। যাঁরা ইতিমধ্যেই শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন তাদের প্রতি বিশেষ ভাবে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
সাধারণত দেখা যাচ্ছে, বিদেশ থেকে সংক্রমণ নিয়ে বিমানবন্দর হয়েই শহরে বা রাজ্যে আসেন মানুষ। সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে নজরদারি আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন মুখ্যসচিব। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থলবন্দর এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে সংক্রমণ রুখতে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
নবান্ন সূত্রের আরও খবর, ১০ লক্ষ কোভিশিল্ড টিকার ডোজ়, নাকে দেওয়ার ৫ লক্ষ টিকা এবং ১ লক্ষ কোভ্যাক্সিন টিকার ডো়জ় রাজ্যের প্রয়োজন বলে কেন্দ্রকে ইতিমধ্যেই আবেদন জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৩ লক্ষ কোভিড পরীক্ষার কিট কিনতে চলেছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, বিদেশি-সহ ৩৯টি নমুনা জিন সিক্যোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে।
Be the first to comment