ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের “প্রত্যর্পণ” কর্মসূচি

Spread the love

ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের “প্রত্যর্পণ” কর্মসূচির মধ্য দিয়ে হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হয়ে যাওয়া ১৭৬টি মোবাইল উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়া হলো তাদের মালিকের হাতে। ঝাড়গ্রাম জেলায় যে সমস্ত মোবাইল ফোনগুলি হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায় সেই সমস্ত মোবাইল গুলিকে উদ্ধার করার জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের এক বিশেষ টীম কাজ করে। ফোনগুলিকে বিভিন্ন অপারেশনের মাধ্যমে উদ্ধার করে পুলিশ। তারপর পুলিশের প্রত্যর্পণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মোবাইল ফোন গুলি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচ মাথার মোড়ে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের প্রত্যর্পণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইল গুলির মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা সহ জেলার একাধিক পুলিশ আধিকারিকরা। এদিনের এই প্রত্যর্পণ কর্মসূচির মঞ্চ থেকেই ব্লাইন্ড টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের প্রতিনিধি শুভেন্দু মাহাতোকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। এদিন পুলিশ সুপার বলেন, প্রত্যর্পণ অনুষ্ঠানটি আমরা ২০১৯ সালের শুরু করেছিলাম। আগে কেবলমাত্র কলকাতাতেই এই সকল কর্মসূচি ছিল কিন্তু এখন বেশিরভাগ জেলাতেই এই কর্মসূচি রয়েছে কিন্তু আমরা গর্বিত যে কলকাতার বাইরে ঝাড়গ্রাম জেলাতেই প্রথম এই মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেওয়া প্রত্যর্পণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। আমাদের এসওজি গ্রুপ স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ অক্লান্ত পরিশ্রম করে রাত্রে বেলায় রেড করে এই ফোন গুলিকে উদ্ধার করে । যে সমস্ত ফোন হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায় সেগুলির নব্বই শতাংশ জেলার বাইরে চলে যায় সেই গুলিকে বিশেষ অপারেশনের মাধ্যমে উদ্ধার করতে হয়।

এছাড়াও এদিন তিনি সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে বিশেষ বক্তব্য দেন। শুভেন্দু মাহাতো কে সংবর্ধনা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, শারীরিক প্রতিকূলতা মানুষের জীবনে অনেক অসুবিধা নিয়ে আসে। সেই শারীরিক প্রতিকূলতাকে আমরা অতিক্রম করতে পারি যদি আমাদের মানসিক জোর মানসিক দূরতা যদি আমরা তৈরি করি। শুভেন্দু তারই একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। শুভেন্দু আজ সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে আমাদের ঝাড়গ্রাম জেলার নাম উজ্জ্বল করেছে।

শুভেন্দু মাহাতো বলেন, বাংলাদেশকে হারিয়ে ভারত মাকে আমরা ট্রফি এনে দিতে পেরেছি এতে আমি খুবই আনন্দিত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*