দলের জন্য সকলকে সময় দিতে হবে, নেতা-মন্ত্রীদের নাম করে নির্দেশ তৃণমূল নেত্রীর

Spread the love

আর কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত ভোট। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে যা প্রতিটি দলের কাছে আসিড টেস্ট। গ্রাম বাংলার মানুষের মনোভাব বুঝে নেওয়ার শেষ সুযোগ। এরই মাঝে নতুন বছরের প্রথম কর্নিসভা করল তৃণমূল। আজ, সোমবারের নজরুল মঞ্চের সেই কর্মিসভা থেকে দলের নেতা-কর্মী-জনপ্রতিনিধিদের একগুচ্ছ বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন কর্মসূচি বেঁধে দিলেন নেত্রী।

নেতা-কর্মী, সদস্য, বিধায়কদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, সঠিকভাবে মাথা উচুঁ করে সৎ পথে চলতে হবে। লোভ সম্বরণ করতে হবে। নিজেকে সামলাতে শিখতে হবে। দলনেত্রীর কথায়, “আমি দলের একজন দায়িত্বপূর্ণ নেতা, দায়িত্বপূর্ণ কর্মী, দায়িত্বপূর্ণ পাহারাদার। এটা মনে রাখুন। প্রত্যেককে কাজ করতে হবে। আমি একা খেটে মরব, আপনারা ভাববেন না, সেটা হবে না।”

দলনেত্রীর নির্দেশ, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে প্রত্যেককে শনি ও রবিবার করে পার্টির জন্য কাজ করতে হবে। কোনও নেতা কখন সময় ধার্য করেছেন, সেই তালিকা খতিয়ে দেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তালিকা মেলাতে মেলাতেই নজরুল মঞ্চ থেকে বক্তব্যের মাঝেই নেত্রীর প্রশ্ন, “সৌগতদা এখনও কেন সময় দেননি? সৌগতদা তো খুব অ্যাক্টিভ লোক।” তবে মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, দেব, শত্রুঘ্ন সিনহাকে তিনি এ বিষয়ে কিছুটা ছাড় দিয়েছেন।

ছাড় প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “শত্রুঘ্ন সিনহা কতটা সময় দিতে পারবেন দেখে নেওয়া হোক। তাঁকে আমরা ভোটের প্রচারের কাজে লাগাব। পাশাপাশি দেব, নুসরত, মিমি ওদেরও সময় পাইনি। তবে ওঁরা যেহেতু সিনেমার কাজ করে তাই ওঁদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় থাকবে।” বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী কতটা সময় দিতে পারবেন, তা দেখে নেওয়ার জন্য দোলনেত্রী নির্দেশ দেন কাকলী ঘোষ দস্তিদারকে। এছাড়াও তিনি বলেন, “মনোজ তিওয়ারি বিভিন্ন সময় খেলার জন্য বাইরে যান, তাই তাঁর সময়ের বিষয়টাও দেখে নিতে হবে।” পাশাপাশি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে বলেন, “তুমি জুল মালিয়া, বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে বৈঠক করবে। সুভদ্রাকেও নাও। উনি দলের জন্য কাজ করতে আগ্রহী।”

এদিন সময়ের তালিকা হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যতদিন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাজেট সেশন হবে, ততদিন দলের সমস্ত বিধায়ককে উপস্থিত থাকতে হবে। বাজেট সেশনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেককে দলের জন্য সময় দিতে হবে। ৮ জানুয়ারি থেকে বাজেট সেশনে প্রত্যেক বিধায়ককে থাকার নির্দেশ দেন তিনি। বাজেট অধিবেশনে সাংসদদের উপস্থিতিও চেয়েছেন দলনেত্রী। জানুয়ারি মাসে কে কবে দলকে সময় দেবে সেই তালিকা পেয়েছি। এখও কারও কারও সময় পাইনি। দোলা সেনের সময় এখনও পাইনি। সৌগতদা কেন এখনও সময় দেননি? তিনি তো খুব অ্যাক্টিভ লোক। কল্লোল খানের সময় এখনও পাইনি।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*