ন্যূনতম প্রয়োজনের অতিরিক্ত চান না। প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে পেনশন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেতন নেন না। খরচ চলে বইয়ের রয়্যালটি আর গানের সিডি-র রয়্যালটি থেকে। সোমবার, নজরুল মঞ্চের মেগা বৈঠক থেকে এই তথ্য দিলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, “আমি তো প্রদর্শনী করে ছবি বিক্রি করলে ৬–৭ কোটি টাকা এক এক সেকেন্ডে তুলে নিতে পারি। কিন্তু আমি তো করি না। মাঝে পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে আমাকে করতে হয়েছিল। কারণ পার্টির লড়ার ক্ষমতা ছিল না। তখন আমরা ওপেন এগজিবিশন করেছিলাম। তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমি আমার সৃষ্টি কী ভাবে ব্যবহার করব এটা যার যার নিজস্বতা। তাহলে আমার চলে কী করে? দল আমাকে দেখে এটা ঠিক। কিন্তু আমার প্রায় ১০৭ – ১০৮টা বই বেরিয়ে গেছে। আমি প্রতি বছর বইয়ের রয়্যালটি পাই। ১০ শতাংশ করে। যতটা দেয় সেটাই যথেষ্ট। আমার বই সব থেকে বেশি বিক্রি হয়। এছাড়া আমার গানের সিডি আছে। সেটা গোল্ডেন ডিস্ক পেয়েছিল। সেখান থেকেও আমি একটা রয়্যালিটি পাই। ৪–৫ লক্ষ টাকার মতো বছরে“।
সাতবারের সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। এখন তার পেনশন ১ লক্ষের মতো। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও তাঁর বেতন দেড় লক্ষের কম নয়। কিন্তু তার কিছুই তিনি নেন না। জানান, তাঁর অত দরকার নেই। তাঁর পরিবারের কেউ আর্থিকভাবে মমতার উপর নির্ভরশীল নন। তিনি কারও উপর নির্ভরশীল নন। তাই বই-গানের সিডির রয়্যালটি দিয়েই তাঁর খরচ চলে যায়। নিজের উদাহরণ দিয়ে দলের কর্মীদের নির্লোভ হওয়ার বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এই প্রসঙ্গে রসিকতা করে মমতা জানান, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কাছে অনুযোগ করেন, তাঁর ছেলে-মেয়েদের দিদি খেলনা কিনে দেন। তাঁদের ছোটবেলায় দিতেন না। তৃণমূল সুপ্রিমো হেসে বলেন, তখন তো টাকাই ছিল না, তাই কিছু দিতে পারিনি। সৎপথে রোজগার করে যতটুকু ন্যূনতম প্রয়োজন, শুধু ততটুকু নেওয়ার কথা বলেন মমতা।
Be the first to comment