কেন্দ্রের বঞ্চনায় ক্ষোভ! মুড়িগঙ্গা ব্রিজ বানাবে রাজ্যই: মুখ্যমন্ত্রী

Spread the love

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার দুপুরে সেখানে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানান, বারবার আবেদন জানানো সত্বেও মুড়িগঙ্গার উপর ব্রিজ তৈরির বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেয়নি কেন্দ্র। কারও কাছে হাত পাতবে না রাজ্য। নিজেরাই অর্থের সংস্থান করে ব্রিজ তৈরি করবে। এদিন একাধিক উন্নয়নমূলক পরিষেবার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ডুমুরজলার আদলে সাগরে তৈরি হয়েছে নতুন হেলিপ্যাড। সেটিরও উদ্বোধন করেন তিনি।

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, মুড়িগঙ্গার উপর সেতু গড়ার বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির সঙ্গে কথাও হয়। কিন্তু কোনও উদ্যোগ নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকাকর। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ, ‘‘আমরা কেন্দ্রকে বার বার বলার পরেও আমরা বিচার পাইনি। মুড়িগঙ্গার উপরে একটা সেতু প্রয়োজন। কিন্তু এর খরচ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তা কী ভাবে করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ মমতার মতে, ‘বিরাট যজ্ঞ’ করতে গেলে ‘যজ্ঞের মালপত্র’ যোগাড় করতে হবে। সেটা হলেই সেতু তৈরি হবে। কারও কাছে হাত পাতবে না বাংলা।

এবার অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে গঙ্গাসাগরে। সেখানে দক্ষিণেশ্বরের মন্দির, তারাপীঠ, কালীমন্দির, জহুরা কালীবাড়ি ও তারকেশ্বর দর্শন করানো হবে- জানান মুখ্যমন্ত্রী। ৬৫ লক্ষ টাকা খরচ করে হয়েছে আধুনিক গেস্ট হাউস। রাজ্য সরকারের তরফে সমুদ্র তটও মেরামতি করা হয়েছে ।

কাকদ্বীপে নতুন সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকার আগেই গঙ্গাসাগরে তীর্থকর মকুব করেছে। মেলা চলাকালীন দুর্ঘটনায় কেউ প্রাণ হারালে ৫ লক্ষ টাকার বিমা করানো হয়েছে।

নানাভাবে সাজানো হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। আলোকমালায় সাজানো হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। বুধবার বিকেল থেকে তা জ্বালিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। লেজার শো, ফুড কোর্টের ঢালাও আয়োজন করা হয়েছে। কাকদ্বীপে স্থায়ী জেটি তৈরি করা হয়েছে।

গঙ্গাসাগরে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। পিছিয়েপড়া মানুষের হাতে তুলে দেন কম্বল। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে সেবামূলক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এরপর যান কপিল মুনির আশ্রমে। সেখানে পুজো দেন। মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*