জোশীমঠে সেনা ক্যাম্পেও ফাটল! ক্রমশই বাড়ছে আতঙ্ক

Spread the love

উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে বিপর্যয়। একের পর এক বাড়িতে ধরছে ফাটল, বসে যাচ্ছে মাটি। পাশাপাশি সেনা ক্যাম্পে একাধিক ফাটল দেখা দিয়েছে। যা নিয়ে ঊদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একটি দল ৫ এবং ৬ জানুয়ারি জোশীমঠের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর কী ভাবে বিপদ এড়ানো যায়, সে বিষয়ে কেন্দ্রকে পরামর্শ দিয়েছে। বলা হয়েছে, যে সব বাড়িতে ইতিমধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে, সেগুলি অবিলম্বে ভেঙে ফেলা দরকার।

গাড়োয়াল হিমালয়ের বুকে পাহাড় কেটে তৈরি জোশীমঠ শহরে গত কয়েক দিন ধরে বহু ফাটল দেখা দিয়েছে। আস্ত শহরটাই ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরানো হয়েছে। একাধিক বাড়িঘর, রাস্তায় দেখা গিয়েছে চওড়া ফাটল। যে কোনও মুহূর্তে শহরটি ধসে যেতে পারে, আতঙ্কের প্রহর গুনছেন স্থানীয়রা।

ভারত-চিন সীমান্ত থেকে খুব একটা দূরে নয় জোশীমঠ। এই অঞ্চলে সেনাবাহিনীর একটি বেস ক্যাম্প রয়েছে। ভারতীয় সেনার পক্ষে জোশীমঠ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। এখান থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে। সেনার পাশাপাশি আইটিবিপি বা ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের আনাগোনাও রয়েছে জোশীমঠে।

চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বিবাদ নতুন নয়। একাধিকবার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে চিনের লাল ফৌজ। তবে প্রতিবারই তাদের সেই প্রচেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। উত্তরাখণ্ড লাগোয়া ভারত-চিন সীমান্তও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে এই অঞ্চল দিয়েই আকাশপথে কপ্টার ও ড্রোনের মাধ্যমে ভারতের উপরে নজরদারি চালানোর চেষ্টা করেছিল চিন। সীমান্তে যাতায়াতের সুবিধার জন্যই তৈরি করা হয়েছিল জোশীমঠ-মালারি বর্ডার রোড। এই রাস্তা কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভারতীয় সেনারা চূড়ান্ত সমস্যায় পড়বেন। তাদের কাছে অস্ত্রশস্ত্র, রসদ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। তেমনই বিপর্যয়ের সুযোগ নিয়ে চিন যে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করবে, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*