শনিবার ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মীদের বিক্ষোভ ঠেকাতে গিয়ে আক্রান্ত হন বহু পুলিশ কর্মী।এরপর থেকেই শুরু হয় ব্যাপক ধড়পাকড়। গ্রেফতার হয়েছেন আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি।শুধু ধর্মতলা থেকেই গ্রেফতার হয়েছেন ১৯ জন আইএসএফ কর্মী। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক কড়া ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। রয়েছে বেআইনি জমায়েত, অস্ত্র নিয়ে গন্ডগোলের চেষ্টা, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, সরকারি কর্মীদের উপর হামলা, খুনের চেষ্টা সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। যে সমস্ত ধারায় মামলা রুজু হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই জামিন অযোগ্য বলে জানা যাচ্ছে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল মেনটেইনেন্স অফ পাবলিক অ্যাক্টের আট ও নয় নম্বর ধারাতেও মামলা হয়েছে বলে খবর। এতেই চিন্তা বাড়ছে ধৃত আইএসএফ কর্মীদের। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। অন্যদিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে। তাতেও পড়তে হতে পারে কড়া শাস্তির মুখে। পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য, আহত পুলিশ কর্মীদের মাথায় আঘাত লেগেছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে ধর্মতলায়। ভাঙড়ের রেশ এসে পৌঁছয় শহরের প্রাণকেন্দ্রে। যার জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় মধ্য কলকাতার যান চলাচল। ভাঙড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন আইএসএফের কর্মীরা। ধর্মতলাতেও এর দেরে শুরু হয় বিক্ষোভ।পুলিশ বিক্ষোভ তুলতে গেলে আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। এরপরই চলে ব্যাপক ধড়পাকড়। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, পুলিশকে বিনা প্ররোচনায় আক্রমণ করা হয়েছে।তিনি জানান, ‘‘ওখানে ওঁদের বসতে বারণ করা হয়েছিল। তুলতে গেলে আমাদের উপরেই আক্রমণ চালানো হয়।’’
Be the first to comment